আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই রানের জবাবে প্রথম ১০ ওভারেই মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান করেছে অজিরা। ফলে ৬০ বলে ৬০ রান দরকার তাদের। ম্যাচটিতে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার।
বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের। এখন তারা অস্ট্রেলিয়াকে নিয়েই সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিতে পারে। তবে এজন্য অজিদের হারিয়ে দিতে হবে তাদের। এরপর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে যদি ইংল্যান্ডকে দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়ে দেয় তাহলে সেমিতে যাবে এই গ্রুপ থেকে। কিন্তু এ কাজটি সহজ হবে না বা অসম্ভবই বলা যায়।
এর আগে ম্যাচটিতে প্রথম দশ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান করেছে ক্যারিবিয়ানরা। পরের ১০ ওভারে তারা করেছে ৮৩ রান। শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল ও পোলার্ডের ব্যাটিংয়ে ভালোই চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সমর্থ হয় তারা।
ম্যাচটিতে শুরুতে ভালো কিছু করার আশা দেখালেও দ্রুত সময়ের মধ্যে তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। দলীয় ৩০ রানের সময় গেইল ১৫ রান করে কামিন্সের বলো বোল্ড আউট হন। এরপর জস হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ আউট হন নিকোলাস পুরান। তিনি মাত্র ৪ রান করতে সমর্থ হন। এরপরের বলেই রস্টন চেজ হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ক্রিজে আসেন শেমরন হেটমায়ার। অপর প্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকেন এভিন লুইস। এ কারণে পাওয়ার প্লে শেষে ৫০ রান তুলতে সমর্থ হয় ক্যারিবিয়ানরা। যদি উইকেটগুলো ধরে রাখতে সমর্থ হতো তারা তাহলে বিষয়টি ভিন্ন হত। কিন্তু ম্যাচের দশতম ওভারে লুইস ২৬ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে ক্যাচ আউট হন। তখন দলের রান ৭০।
এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড ধরে খেলা শুরু করেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন তিনিই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে এভিন লুইসের ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন জস হ্যাজেলউড।