এটা অস্বীকার করার কিছু নেই পেশাদার অ্যাথলেটরা লম্বা সময় ধরে সর্বোচ্চ আয় করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন স্পন্সর মিলিয়ে খেলার বাইরে, এরপর মাঠের খেলায় অংশ নিয়ে তারা যে পরিমাণ টাকা আয় করেন তা অসাধারণ।
পেশাদার অ্যাথলেটরা কেমন আয় করেন এটি দেখানোর জন্য ইউটিউব চ্যানেল ডাটালাভার ফোর্বস থেকে তথ্য বের করেছে এবং অতীতে অ্যাথলেটরা কেমন আয় করত, ১৯৯০-২০২০ সাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ অ্যাথলেটের মধ্যে কি পরিবর্তন এসেছে এটি খুঁজে বের করেছে এবং এটি একটি ভিডিওর মাধ্যমে দেখিয়েছে।
ভিডিওটি শুরু হয় বক্সার মাইক টাইসনকে দিয়ে, এরপর যথাক্রমে বক্সার বাস্টলার ডগলাস, সুগার রে এরপর ইভান্ডার হোলিফিল্ড সকলকে টপকে যান।
এরপর শুরু হয় বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের রাজত্ব। তিনি ৯০ এর দশকের পুরোটা সময় সর্বোচ্চ আয়কারী অ্যাথলেট ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ৭৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিলেন।
এটা উল্লেখ করতে হয় ৯০ এর দশকে সেরা দশ সর্বোচ্চ আয়কারী তালিকায় ছিলেন না কোন ফুটবলার। সে সময় বক্সিং, কার রেসিং, গলফ খেলোয়াড়রা সবচেয়ে বেশি আয় করতেন।
এরপর গলফার টাইগার উডস ও কার রেসার মাইকেল শুমাখার আধিপত্য দেখিয়েছেন এ শতকের শুরুর আগে। তারা দুইজন দীর্ঘ পাঁচ বছর ছিলেন এই জায়গায়। ওই সময় প্রথম ফুটবলার হিসেবে ডেভিড ব্যাকহাম এই তালিকায় প্রবেশ করেন।
তবে আশ্চর্যজনকভাবে টাইগার উডস পুরো দশকটাতেই সর্বোচ্চ আয়কারী অ্যাথলেট হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে ১১৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে সকল রেকর্ড ভেঙে দেন। এই সময়টায় লেবরন জেমস, কোবে ব্রায়ান্ট সেরা দশে ছিলেন। কিন্তু কেউ উডসকে টপকাতে পারেননি।
বর্তমান সময়ে সর্বোচ্চ আয়কারী অ্যাথলেট মেসি-রোনালদো উপরের দিকে উঠেন ২০১৩-১৪ সাল থেকে। ২০১৪-২০১৫ সাল পর্যন্ত রাজত্ব দেখিয়েছেন আমেরিকার বক্সার ফ্লয়েড ম্যাওয়েদার। এর মধ্যে শুধু ২০১৫ সালে তিনি ৩০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেন।
অবশেষে ২০১৬ সালে মেসি ও রোনারদো প্রথম দ্বিতীয়স্থানটি দখল করেন বাস্কেটবল খেলোয়াড় লেবরন জেমস ও টেনিসার রজার ফেদেরারকে টপকে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয়কারী তালিকায় কোন বক্সার ছিল না। কিন্তু ম্যাওয়েদার পুনরায় বক্সিংয়ে ফেরায় ও কনর ম্যাকগ্রেগরের কল্যাণে আবার বক্সারের দেখা মেলে।
বর্তমানে সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ অ্যাথলেটদের মধ্যে চলছে ফুটবল ও বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের দৌরাত্ব। এই তালিকায় বর্তমানে ফুটবলার হিসেবে রয়েছেন মেসি, নেইমারর ও রোনালদো।