আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৮৫ রান করেছে স্কটল্যান্ড। এখন জয়ের জন্য ভারতকে করতে হবে ৮৬ রান। ভারতের হয়ে সমান ১৫ রান করে দিয়ে তিনটি করেই উইকেট তুলে নেন।
ম্যাচটিতে জয় পেলেও ভারতকে চেয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচের দিকে। সঙ্গে নিজেদের শেষ ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিতে হবে। এরপর নিউজিল্যান্ড যদি আফগানদের বিপক্ষে হেরে যায় তখন রান রেটের হিসাব দেখা হবে। রান রেটে যারা এগিয়ে থাকবে তারাই পাকিস্তানের সঙ্গে সেমিতে যোগ দিতে পারবে।
এদিকে এর আগে স্কটল্যান্ড প্রথম দশ ওভারে মাত্র ৪৪ রান করে। এর মধ্যে তারা হারিয়ে ফেলেে চারটি উইকেট।
ম্যাচটিতে টসে জিতে স্কটিশদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পাওয়ার প্লে অর্থাৎ প্রথম ছয় ওভারে মাত্র ২৭ রান তুলতেই দুটি উইকেট হারায় তারা। এরপরের চার ওভারে মাত্র ১৭ রান তুলে। কিন্তু হারায় আরো দুটি উইকেট। পরে ভারতের বোলাররা আরো দাপট দেখানো শুরু করেন। ফলে স্কটিশরা প্রথম ১০ ওভারে ৪৪ রান করতে সমর্থ হলেও পরের দশ ওভার আর খেলতেই পারেনি
অধিনায়ক কাইল কোয়েতজার মাত্র ১ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড আউট হন। তখন দলের রান মাত্র ১৩। এরপর দলীয় ২৭ রানের সময় জর্জ মানসে ১৯ বল খেলে ২৪ রান করে মোহাম্মদ শামীর বলে ক্যাচ আউট হন। শামী উইকেট তুলে নেয়ার পাশাপাশি মেডেন ওভার দেন। পাওয়ার প্লের পর রবিন্দ্র জাদেজা বল করতে এসে নিজের প্রথম ওভারে ম্যাথু ক্রসকে ২ রান ও বেরিংটনকে ০ রানে ফেরান। এরপর আবার আঘাত হানেন জাদেজাই। দলীয় ৫৮ রানের সময় মাইকেল লিস্ককে তিনি ২১ রানে ফেরান। লিস্ক মাত্র ১২ বল খেলে ২১ রান করেন। তিনি থাকলে হয়তো দলের রান আরেকটু বাড়ত। এরপর ১৪তম ওভারে ক্রিস গ্রেভেসকে ১ রানে ফিরিয়ে স্কটিশদের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দলীয় ৮১ রানে ম্যাকলয়েডকে ১৬ রানে ফেরান শামী। পরের বলেই সাফইয়ান শরীফ রান আউট হন। শামী থামেননি এতেও। নিজের সেই ওভারের তৃতীয় বলে ইভানকে সরাসরি বোল্ড আউট করেন। এরপর বুমরাহর বলে বোল্ড হন ওয়াট।