আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ নামিবিয়া খেলতে নেমেছে ক্রিকেটের পরাশক্তি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। নামিবিয়া ক্রিকেট বিশ্বে ছোট ও অচেনা একটি নাম। তবে আজ তাদের সমর্থন দিয়েছে ১৩০ কোটি মানুষ! যাদের সবাই হল ভারতীয়। কারণ এ ম্যাচটির মধ্যে জড়িয়ে আছে তাদের সেমিফাইনাল ভাগ্য। ফলে গোটা ভারতের জনগণ মনে প্রাণে চেয়েছিল নামিবিয়ার জয়। কিন্তু তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। নিউজিল্যান্ড তাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামিবিয়াকে হারিয়ে দিয়েছে ৫২ রানে। ফলে এখন নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা আরো সুগম হলো। সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা খেলতে নামবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এ ম্যাচটিতে আফগানদের হারালেই শেষ চারের টিকেট নিশ্চিত হবে তাদের। তাছাড়া রান রেটেও ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে তারা।
আজ রাত আটটায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে খেলবে ভারত। এ ম্যাচটিতে তারা জয় পেলে তাদের সেমির আশাটাই স্রেফ বেঁচে থাকবে। আর যদি হেরে যায় তাহলে ভারতের দৌড়ও থেমে যাবে সুপার টুয়েলভে, এক ম্যাচ বাকি থাকতেই।
ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড করে ১৬৩ রান। জবাবে নামিবিয়া ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানে থামে।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের মাস্ট উইন ম্যাচে নামিবিযার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৪ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। এই রান তাড়া করতে নেমে প্রথম দশ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৬ রান করেছে নামিবিয়া। ফলে জিততে হলে শেষ দশ ওভারে তাদের করতে হবে ১০৮ রান। যা তাদের জন্য অসাধ্য ব্যপার ছিল। প্রথম দশ ওভারে ৫৬ করে, শেষ দশ ওভারে তারা করতে সমর্থ হয়
কিউইদের বিপক্ষে বড় রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করছিলেন নামিবিয়ার দুই ওপেনার ভেন লিঙ্গান ও স্টেফান বার্ড। তারা দুইজন মিলে ওপেনিং জুটিতে দলকে এনে দিয়েছিলেন ৪৭ রান। তবে এর পর লিঙ্গেন ২৫ ও বার্ড ২১ রান করে আউট হন। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে চাপে পরে যায় নামিবিয়া। এরপর ব্যাটিংয়ে আসা অধিনায়ক এরাসমুস মাত্র ৩ রানে ফিরলে অনেকটা বেকায়দায় পরে যায় আফ্রিকার দেশটি। এরপর জেন গ্রিন ও ডেভিড ভিসা মিলে ছোটখাট পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। কিন্তু ভিসা ১৬ রানে ও গ্রিন ২৩ রান করে আউট হয়ে যান। ফলে ১০২ রানে পাঁচটি উইকেট চলে যায় নামিবিয়ার। এরপরের দুই ব্যাটসম্যান লফটি ইটন ক্রেইগ উইলিয়ামস কোন রান না করেই সাজঘরে ফিরলে কিউইদের জয় সময়ের ব্যপারে পরিণত হয়।
এর আগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামিবিয়ার বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিং করে ১৬৩ রান করে নিউজিল্যান্ড।
প্রথম দিকে ব্যাটিংয়ে ধুকলেও শেষ দিকে গ্ল্যান ফিলিপস ও জিমি নিশাম মিলে ঝড় তোলেন। তারা ২৭ বল খেলেই ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেন। আর এই দুইজনের সমন্বিত ঝড়ে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করাতে সমর্থ হয় কিউইরা। নিশাম ৩৫ রান করেন। অপরিদকে ফিলিপস করেন ৩৯ রান। শেষ পাঁচ ওভারে তারা ৭২ রান তুলেন।
তবে এর আগে আফ্রিকার দেশটির বিপক্ষে মাস্ট উইন ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা চাপে পরো কিউইরা। ম্যাচটির প্রথম ১৭ ওভার পর্যন্ত রানের ফোয়ারা ছোটাতে পারেননি তারা। ১৭ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১০ রান তুলেছিল তারা। এরপর শুরু হয় নিশাম-ফিলিপসের তান্ডব।
ম্যাচটির শুরুর দিকে ওপেনার মার্টিন গাপটিল মাত্র ১৮ রান করে ফিরে যান। তখন দলের রান মাত্র ৩০। তাকে ফেরান ডেভিড ভিসা। এরপর দলীয় ৪৩ রানের সময় ডারউইল মিচেল ১৯ রান করে ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পরে তারা। মিচেল আউট হন বার্নার্ড স্কল্টজের বলে। সেই চাপ সামলে নিয়ে রান তোলার দিকে মনযোগ দেন কেন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে। তবে বেশি দূর আগাতে পারেননি এ দুজন। দলীয় ৮১ রানের সময় ফিরে যান অধিনায়ক উইলিয়ামসন। তিনি আউট হওয়ার আগে করেন ২৮ রান। উইলিয়ামসনকে বোল্ড আউট করে দেন জেরহার্ড এরাসমুস। এরপর কনওয়ে দলীয় ৮৭ রানের সময় রান আউট হন।