Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাস্তবে অস্তিত্বই নেই!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৭ এএম

বাড়িটার চেহারা একখানা বিশাল দৈত্যের মতো। মাটি থেকে সটান দাঁড়িয়ে সে। সারা গায়ে আলোর ঝিকমিক। পাঁচটা বাড়ি গায়ে গায়ে জুড়ে তৈরি এই বিশাল আবাসন। ১৮টি তলে ২২৪৩টি ফ্ল্যাট। অন্তত ১০ হাজার মানুষ বাস করেন এই বাড়ির ভিতরে।
হংকংয়ের কোয়ারি বে-র ইয়ায়ু মান স্ট্রিটের অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে এই ‘দৈত্য’। রাস্তার ২ থেকে ৩২ নম্বরের দখলদার সেটি। বাড়িটির পোশাকি নাম মনস্টার বিল্ডিং। দৈত্যের মতো চেহারা, তাই নামেও দৈত্য। তবে এ নামটুকু ছাড়া এর সঙ্গে ভুত-প্রেত-দৈত্য-দানোর কোনও সম্পর্ক নেই। দেখতে ইংরেজি ‘ই’ অক্ষরের মতো। নীচে দাঁড়িয়ে মাথা তুললে দেখা যায় ছোট্ট এক ফালি আকাশ। ‘মনস্টার’-এর আলো বিজবিজে শরীরকে চারপাশে রেখে সেই আকাশ ক্যামেরাবন্দি করেছেন নামজাদা সব চিত্রগ্রাহক। ষাটের দশকে জন্ম মনস্টার-এর। দেশের স্বল্প উপায়ীদের জন্য সরকারি ভর্তুকিতে ঘরের ব্যবস্থা করতে তৈরি করা হয়েছিল। তবে তখনও সে ‘মনস্টার’ হয়ে ওঠেনি। নাম ছিল বাকগা সানজুন। পরে ১৯৭২ সালে বিক্রি হয়ে যায়। পাঁচটি আলাদা আলাদা বøকে ভেঙে দেয়া হয় ‘মনস্টার’কে। গায়ে গায়ে লেগে থাকা সেই পাঁচটি বাড়ির নাম ফুক সেয়ং বিল্ডিং, মন্তানে ম্যানসন, ওসিয়নিক ম্যানসন, ইক সেয়ং বিল্ডিং এবং ইক ফ্যাট বিল্ডিং। এর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ওসিয়নিক।
সরকারি খাতায় অবশ্য ‘মনস্টার’-এর কোনও অস্তিত্ব নেই। ওই নামের কোনও বাড়িই নেই হংকংয়ে। সরকারি নথিতে বিশাল বাড়িটি নেহাৎই পাঁচটি ভবন নিয়ে তৈরি একটি আবাসন। ‘মনস্টার’ আসলে ডাক নাম। দৈত্যবাড়িকে ওই নাম দিয়েছেন হংকং-য়ের মানুষ। গোটা পৃথিবীতে যা এখন ওই নামেই পরিচিত। সূত্র : সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ