বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেতন-ভাতা, মাইলেজ নিয়ে অসন্তোষের কারণে ট্রেন চালানো থেকে নিজেদের বিরত রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চালকরা। এতে চরম বেকায়দায় পড়েন যাত্রীরা।বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টার পর থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। পরে রেলওয়ের ঊর্ধ্বনদের হস্তক্ষেপে প্রায় তিন ঘণ্টা পর ট্রেন চালকরা ইঞ্জিনে উঠে ট্রেন চালাতে শুরু করেন।
জানতে চাইলে কায়সার আহমেদ নামে এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সোনার বাংলা ট্রেনের যাত্রী আমি। নির্ধারিত বিকেল ৪টার ট্রেন স্টেশনে আসলেও ইঞ্জিন না আসায় বসে আছি। শুনেছি ট্রেন চালকরা নাকি ইঞ্জিনে উঠছে না; ট্রেন চালাবে না। এখন আমরা কোথায় যাব? স্টেশনে তো বিভিন্ন ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রী বসে আছে। আমরা চরম বেকায়দায় ও দুর্ভোগে পড়েছি।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রতন কুমার দাশ বলেন, হঠাৎ করে বিকেল থেকে ট্রেন চালকরা ইঞ্জিনে উঠছেন না। তাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তাদের বেতন-ভাতা ও মাইলেজ নিয়ে তারা বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আর নাকি তাদের প্রাপ্য ঠিকমতো পাচ্ছেন না। তাই তারা ঊর্ধ্বতনদের নজরে আনতে ট্রেন না চালিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিষয়টি আমি রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। চালকদের বুঝালে ট্রেন চলাচল সচল হয়েছে এখন। বিকেল ৪টার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা ট্রেন পৌনে ৫টায় আর বিকেল ৫টার চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় সাড়ে ৬টায় স্টেশন ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটলও ছেড়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রেলওয়ের আইবাস সিস্টেম জটিলতার কারণে ট্রেন চালক, সহকারী ট্রেন চালক ও টিটিই’রা ঠিকমতো বেতন-ভাতা পাচ্ছে না। এমনকি নতুন মাইলেজ কোডের কারণে তাদের যথাযথ প্রাপ্য না পাওয়ায় তারা প্রতিবাদ করে আসছেন। বিষয়টি রেলওয়ের কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন। এরপরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন রেল স্টেশনে এভাবে ইঞ্জিনে না উঠে ট্রেন চালকরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।