Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানবিক মিশনে মিয়ানমারে মার্কিন দূত

স্যাটেলাইট ছবিতে পাওয়া গেল ঘরবাড়ি পোড়ানোর সত্যতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক ও অভিজ্ঞ মধ্যস্থতাকারী বিল রিচার্ডসন মিয়ানমারে গেছেন। তার প্রতিষ্ঠান রিচার্ডসন সেন্টার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তিনি ‘ব্যক্তিগত মানবিক মিশনে’ মিয়ানমার যাচ্ছেন। মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে রিচার্ডসন সেন্টারের বরাত দিয়ে জানায়, বিল রিচার্ডসন মিয়ানমারে কভিড-১৯-এর টিকা কার্যক্রম, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং অন্যান্য জনস্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা করবেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর সেনাবাহিনী বেসামরিক নেতা অং সান সু চিকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তাছাড়া আট হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে। অপর এক খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের চীন রাজ্যে ভবন পুড়িয়ে দেওয়ার কিছু ছবি ও ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে। সে দেশের সেনাবাহিনী ওইসব ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চীন রাজ্যের স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে আগুন দেয়ার সত্যতা পেয়েছে। পরিবেশ বিষয়ক স্যাটেলাইট সেন্সর থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চীন রাজ্যের থান্টলাং এলাকায় সে দেশের সেনাবাহিনী যে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, তার প্রমাণ মিলেছে সেইসব ছবিতে। গত ২৯ অক্টোবর সেখানে আগুন দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওইদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১২:২৯ মিনিটে আগুন দেয় সেনাবাহিনী। গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর আগুন দেওয়ার যে খবর ও ছবি বেরিয়েছে, তা স্যাটেলাইট ইমেজের সঙ্গে মিলে গেছে। ওই ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর আবারো আগুন দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়ে স্যাটেলাইটে। অভিযোগ রয়েছে, সে দেশের সেনাবাহিনী কোনো কারণ ছাড়াই এভাবে ঘরবাড়িতে আগুন দিয়েছে। সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের অভিযোগ বেশ পুরনো। রাখাইন রাজ্যে ২০১২ সালে, ২০১৬ সালে এবং ২০১৭ সালে ব্যাপক নিপীড়ন চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর আগেও এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এখনো সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এএফপি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ