Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাম মন্দিরের অ্যাকাউন্ট সামলাবে টাটা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২১, ৬:৩৩ পিএম

রাম জন্মভূমি তীর্থ পর্ষদের অ্যাকাউন্ট সামলাবে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস (টিসিএস)। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি হবে নতুন সফ্টওয়্যার। এজন্য অযোধ্যার কাছে রামঘাটে নতুন অফিস খুলছে টাটা। জমি বিতর্কের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

ইতিমধ্যেই রাম জন্মভূমি পর্ষদের সম্পত্তির পরিমাণ ৩ হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। সেই সম্পত্তির হিসেব নিকেশ সংক্রান্ত কাজের জন্য সফ্টওয়্যার তৈরির দায়িত্বই গিয়ে পড়েছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের উপর। মন্দির পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, জমি বিতর্কের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এক সংস্থার হাতে অ্যাকাউন্টের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছেন তারা।

এক বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে আরএসএস রাম মন্দিরের অছি পরিষদের তিন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে মুম্বইতে ডেকেছিল রুদ্ধদ্বার বৈঠকে। সেখানেই কোনও পেশাদার সংস্থার হাতে কাজের দায়িত্ব তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই রামঘাট এলাকায় অফিস খুলেছে টিসিএস। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই রাম মন্দিরের সমস্ত সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি ডিজিটাইজ করে ফেলা হবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে টিসিএস-এর আইটি বিশেষজ্ঞরা এ সংক্রান্ত পরিকল্পনার সুস্পষ্ট ধারণাও দিয়েছেন মন্দির পর্ষদের চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রকে। মন্দির পর্ষদের সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজন সম্পর্কে টিসিএস-কে জানিয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী কাজ করবে সংস্থাটি। ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পূর্ণ তথ্যাদি ডিজিটাইজড হয়ে যাবে।

২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরির অনুমোদন দেয়ার পর থেকে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছে মন্দির ট্রাস্ট। ভিএইচপি মন্দিরের জন্য টাকা তুলে তহবিল গড়তে শুরু করে। ফুলে ফেঁপে ওঠে কোষাগার। ঠিক তখনই দেখা যায় হ্যাক হয়েছে পর্ষদের ওয়েবসাইট। ভুয়া পোর্টাল খুলে তহবিল বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। প্রতারকেরা পর্ষদের চেক ক্লোনিং করে বেশ কয়েকবারে মোটা টাকা তুলে নেয় বলেও অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে অভিযোগ, চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কয়েকবার সম্পাদককে ফোন করে। কিন্তু, তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে টাকা দিতে বাধ্য হয় ব্যাঙ্ক। এ ছাড়া, জমি ক্রয় সংক্রান্ত বিতর্ক আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

এ সব ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ একটি সংস্থাকে দিয়ে মন্দিরের আয় ব্যয়ের হিসাবে রাখা তাৎপর্যপূর্ণ। মন্দির পর্ষদের সদস্য অনিল মিশ্র অবশ্য বলেন, ‘আমাদের সদস্যরা যে ভাবে আয় ব্যয়ের হিসাব রাখছিলেন, সে ভাবেই রাখবেন।’ সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ