আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার বেশ শক্তিশালী দল গঠন করেছে পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ খেলেছে তারা। এর সবগুলোতে জয় তুলে নিয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ২০০৯ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা।
চারটি ম্যাচের সবগুলোতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছে তারা। দলের ওপেনাররা রান এনে দিয়েছেন। পরের ব্যাটসম্যানরা সময়মত জ্বলে উঠেছেন। বোলাররা তাদের কাজটি ঠিক মতো করেছেন। সবমিলিয়ে দলগত পারফরমেন্সের অসাধারণ উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বাবর আজমের দল।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারায় পাকিস্তান, দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ড, তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তান ও চতুর্থ ম্যাচে গতকাল নামিবিয়াকে হারিয়েছে তারা।
আর এ চারটি ম্যাচেই ঠিক একই একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। চারটি ম্যাচের একটিতেও একাদশে কোন পরিবর্তনও আনতে হয়নি তাদের। কারণ সবাই যার যার জায়গা থেকে নিজেদের কাজটা করে যাচ্ছেন। তবে মাঝে মাঝে বোলাররা হয়তো একটু রান দিয়ে ফেলছেন। যেমন আফগানিস্তানের বিপক্ষে পেসার হাসান আলী খুব বেশি ভালো করতে পারেননি। কিন্তু নামিবিয়ার বিপক্ষে দল থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়নি। পাকিস্তান আসলে তাদের উইনিং কম্বিনেশনটা ভাঙছে না বা ভাঙার ইচ্ছাও নেই, ভাঙার প্রয়োজনও নেই ।
এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের মূলমন্ত্র হলো 'একতা'। আর এ বিষয়টিকে বেশ ভালোভাবেই মেনে চলছেন দলের সবাই। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে পেয়ে যেন দল আরো বেশি বদলে গেছে। ঠান্ডা মাথায় খেলে থাকেন তিনি। ওপেনার হিসেবে নেমে শুরুতেই দলকে একটি সুবিধাজনকস্থানে পৌছে দেয়ার চেস্টা করেন। এরপর পুরো ম্যাচে দলের সকলকে উজ্জীবিত রাখতে ভূমিকা রাখেন। শুধু মাঠ না মাঠের বাইরেও সকলকে নিয়ে বসে আলোচনা করেন। যেমন ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়ার পর তিনি দলের সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন 'আমরা এখন কোন উদযাপন করব না। কাজ শেষ হওয়ার পর সবাই একসাথে আনন্দ করব।'