পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গ্রীন হ্যাভেন নামের একটি সামাজিক ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের হাতিবান্ধায় তালিম ঘর-এ খোকা মিয়া কৃষি সমাচার ও পাঠাগার উদ্বোধন উপলক্ষে ‘লাল মাটিতে ফলের বাগানঃ সফলতায় করনীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
উদ্বোধনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এড. জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের),সংসদ সদস্য, টাঙ্গাইল-৮। খোকা মিয়া কৃষি সমাচার ও পাঠাগার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিত্রা শিকারী। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কৃষিবিদ, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বৃন্দ, চিকিৎসক এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ক্যাম্পস এর সভাপতি, খোকা মিয়া কৃষি সমাচার ও পাঠাগার এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট কিডনি রোগ বিশেজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ এম এ সামাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি এই কৃষি সমাচার ও পাঠাগার প্রতিষ্ঠার পটভূমি আলোচনা করেন।
ডা. এম এ সামাদ বলেন যে, এই পাহাড়ী লাল মাটিতে বিভিন্ন জাতের ফলের বাগান করার জন্য উপযুক্ত। ফলের বাগান ব্যাক্তিগত ভাবে করতে যেয়ে তিনি বুঝতে পারলেন যে, আধুনিক উপায়ে ফলের গাছ ও অন্যান্য গাছ লাগানোর বিষয়ে কৃষকেরা অনাভিজ্ঞ। তাই তিনি চিন্তা করেন আধুনিক উপায়ে ও বাস্তব সম্মত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জ্ঞান দান করা উচিত। যত রকমের ফলের গাছ আছে তা দিয়ে তিনি বড় আকারে একটি ফলের বাগান করার পরিকল্পনা করেন। কৃষকেরা যাতে বাস্তব ধারণা নিতে পারে তাই তিনি কৃষি সমাচার নামে একটি পাঠাগার তৈরি করেছেন। ফলের বাগান করা, বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানো, হাঁস মুরগী পালনের জন্য যত ধরনের বই আছে (প্রায় ৫০০ এর অধিক) তা তিনি সংগ্রহ করে পাঠাগারে রেখেছেন কৃষকদের পড়ার জন্য এবং সেইসাথে হাতে কলমে শিক্ষা লাভের জন্য ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার মাধ্যমে কৃষকেরা জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে ব্যবস্থা তিনি করেছেন।
তিনি আশা ব্যাক্ত করেন যে, কৃষি মন্ত্রনালয়, কৃষি অধিদপ্তর এর কর্মকর্তাবৃন্দ এই কৃষি সমাচার কেন্দ্রে বসে কৃষকদের আধুনিক প্রশিক্ষন দিতে পারবে। ডাঃ এম এ সামাদ বলেন, এই লাল মাটি পাহাড়ী এলাকায় আধৃনিক ও উন্নতমানের ফলের বাগান করা সম্ভব। কৃষি সমাচার কেন্দ্র থেকে কৃষকেরা অনেক উপকৃত হবে।
প্রধান অতিথি জনাব এড. জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এ ধরনের একটি উদ্যোগের জন্য ডাঃ এম এ সামাদকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষজ্ঞ বক্তারা আলোচনা সভায় সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বসতি নিশ্চিত করা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বনায়ন সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ক্যাম্পস ও গ্রীন হ্যাভেন এর নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ান সালেহীন অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে প্রায় সহস্রাধিক মাল্টা ও কমলা ফলের চারা বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, জনাব মোহাম্মদ আমিন শরীফ, সিনিয়র সহকারী সচিব, অর্থ মন্ত্রনালয়।এছাড়াও আলোচনা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেবিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুল আউয়াল, প্রাক্তন পরিচালক, খামারবাড়ী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঢাকা। জুলফিকার হায়দার কামাল(লেবু), চেয়ারম্যান, সখিপুর উপজেলা পরিষদ। আবু হানিফ আজাদ, মেয়র, সখিপুর পৌরসভা, সখিপুর, টাঙ্গাইল। শওকত শিকদার, সাবেক চেয়ারম্যান, সখিপুর উপজেলা পরিষদ। এ, কে, সাইদুল হক ভূঁইয়া, অফিসার ইনচার্জ, সখিপুর থানা, সখিপুর, টাঙ্গাইল। নিয়ন্তা বর্মন, উপজেলা কৃষি অফিসার, সখিপুর, টাঙ্গাইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।