Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০২২ সালে কলম্বো জেদ্দা মদিনা, ২০২৩ এ নিউইয়র্ক যাবে ইউএস-বাংলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২১, ৭:২৫ পিএম

২০২২ সালের শুরুতে শ্রীলঙ্কার কলম্বো ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এছাড়া সউদী আরবের জেদ্দা, দাম্মাম, মদিনা, রিয়াদ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ও আবুধাবিতে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনাও রয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থাটির।

সোমবার (১ নভেম্বর) পর্যটন নগরী কক্সবাজারের একটি বেসরকারি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, আগামী বছর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং বছর। গত আট বছরের অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে ২০২২ সালে নতুন নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছি। আগামী বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলংকার কলম্বোতে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নতুন অনেক গন্তব্যে ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে ইউএস-বাংলার। এ লক্ষ্যে আগামী ২০২২ সালে এয়ারলাইন্সটির বহরে তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৪টি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত হতে যাচ্ছে।

কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী বছরের বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন ক্যাটাগরি-ওয়ান অর্জন করতে পারা সাপেক্ষে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য বিশেষ করে লন্ডন, আমস্টারডাম, রোম, প্যারিসসহ বেশ কয়েকটি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের বহরে আরো ৮টি এয়ারবাস, ৩২১-এলআর সিরিজের এয়ারক্রাফট যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বর্তমান ফ্লাইট পরিচালনা পরিস্থিতি নিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ইউএস-বাংলা ঢাকা থেকে কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া দুবাই, দোহা, মাস্কাট, এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর ও চীনের গুয়াংজুতে স্বল্প পরিসরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আশা করছি শিগগিরই ব্যাংকক রুটেও ফ্লাইট শুরু হবে।

করোনাকালে সারা বিশ্বের আকাশপথ যখন স্থবির ছিল তখন ইউএস-বাংলার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে ইউএস-বাংলা দুবাই, আবুধাবি, দিল্লি, চেন্নাই, মালে, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, হ্যানয়, এমনকি ফ্রান্সের প্যারিসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৫০টির বেশি স্পেশাল ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। কোভিড মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ সরকার তথা সিভিল এভিয়েশন অথরিটির অনুমতি নিয়ে ইউএস-বাংলা প্যাসেঞ্জার এয়ারক্রাফটগুলোকে সাময়িকভাবে কার্গো এয়ারক্রাফটে রূপান্তর করে আয়ের পথকে কিছুটা সচল রাখার চেষ্টা করেছে।

দেশের এভিয়েশন ও ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো। বিশেষ করে অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, জেট ফুয়েল প্রাইসকে আন্তর্জাতিক মানদ-ে নিরূপণ করা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো গঠনমূলক লেখনির মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ