ক্রিকেটকে বলা হয় অনিশ্চয়তার খেলা। যে কোন সময় যে কোন কিছু ঘটে যেতে পারে। তার আঁচ আজ পাওয়া গেল ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচে। চরম উত্তেজনাকর এ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৬ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এর মাধ্যমে সুপার টুয়েলভে চারটি ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয় তুলে নিয়ে সবার আগে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করল থ্রি লায়ন্সরা।
ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে জস বাটলারেরর অনবদ্য সেঞ্চুরির সুবাদে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে ইংল্যান্ড। এ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে চাপে পরলেও মাঝে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে আবার ইংলিশ বোলাররা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। এতে করে ১৯ ওভার খেলে ১৩৭ রানেই থামে শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন মঈন আলী, আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডান।
ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন হাসারাঙ্গা। তিনিই দলের হাল ধরেছিলেন ও দলের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু দলীয় ১২৯ রানের সময় ক্যাচ আউট হয়ে তিনি সাজঘরে ফিরে গেলে ধস নামে দলের ব্যাটিংয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন ভানুকা রাজাপাকসে।
ম্যাচটিতে নিজেদের ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন জস বাটলার। অথচ শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটির শুরুতে প্রচন্ড চাপে পরে ইংলিশরা। কিন্তু প্রথম দশ ওভার শেষে ঝড় তোলেন বাটলার ও ইয়ন মরগান। বাটলার ৬৭ বল খেলে ১০১ রান করেন। অপরদিকে মরগান ৩৬ বল খেলে করেন ৪০ রান।
ম্যাচের প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৭ রান তুলতে সমর্থ হয় ইংলিশ বাহিনী। অথচ নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে তারা তুলেছিল ৬৬ রান। যা এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। লঙ্কানদের বিপক্ষে শুরুতে এমন ধীর গতির কারণে মনে হচ্ছিল হয়ত অল্পতেই থামবে ইংল্যান্ডের ইনিংস। কিন্তু তা হতে দেননি বাটলার ও মরগান।
ম্যাচটিতে ওপেনার জেসন রয় ৯, ডেভি মালান ৬ ও বেয়ারেস্টো কোন রান না করে সাজঘরে ফেরেন। তবে জস বাটলার একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে নিয়ে। ম্যাচের শেষ দিকে আউট হন মরগান ৪০ রান করে। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।