পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজ দলের কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী মাহাদি জে আকিবের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার সংজ্ঞা ফিরলেও এখনো সে শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এখনো হাসপাতালের আইসিইউতে তার চিকিৎসা চলছে। গতকাল সোমবার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন আগের দিনের চেয়ে তার অবস্থা কিছুটা ভালো। তবে তাকে নিয়ে আশঙ্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধে দফায় দফায় সংঘর্ষের একপর্যায়ে গত শনিবার সকালে আকিবের ওপর ছাত্রলীগের একটি পক্ষ হামলা চালায়। হকিস্টিক ও কাঁচের বোতল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়। এতে তার মস্তিষ্ক ও খুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিনই তার অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর তার মাথার খুলির হাড়ের একটা অংশ পেটের চামড়ার নিচে রেখে দেয়া হয়। পরে তা আবার প্রতিস্থাপন করা হবে। চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, আকিবের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তবে যেহেতু ব্রেইনে আঘাত, তাই তাড়াতাড়ি কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা আশাবাদী। আইসিইউর সামনে আকিবের স্বজনরাও উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন।
চমেকে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। এর একটি পক্ষ সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের এবং অপর পক্ষটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী। আকিবের উপর হামলায় ঘটনায় শনিবার রাতে আ জ ম নাছির গ্রুপের ১৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে মহিবুল হাসান চৌধুরী গ্রুপের এক কর্মী। এই মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল নগরীর চকবাজার থানায় আ জ ম নাছির গ্রুপের পক্ষে চমেকের এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে পাল্টা করেছে। এ মামলার আসামিরা নওফেল গ্রুপের অনুসারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।