নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে নাকানি চুবানি খাইয়ে ছাড়লো নিউজিল্যান্ড। কিউদের বোলিং তোপে ৭ উইকেটে ১১০ রানেই থেমে গেছে বিরাট কোহলির দল। অর্থাৎ জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে করতে হবে ১১১ রান।
দুবাইয়ে সুপার টুয়েলভের মহাগুরুত্বপূর্ণ লড়াই। এই ম্যাচে যে দল জিতবে, তাদের সেমির পথ অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এমন লড়াইয়ে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থই প্রমাণ করেন কিউই বোলাররা। শুরুতেই ভারতকে চাপে ফেলে দেন তারা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ১১ রানের মাথায় ইশান কিশান (৮ বলে ৪ রান) সাজঘরে ফেরেন ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে।
এরপর ষষ্ঠ ওভারে আরও এক ব্যাটারকে হারায় ভারত। এবার টিম সাউদিকে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ হন লোকেশ রাহুল (১৬ বলে ১৮)।
সেখান থেকে হাল ধরা দূরের কথা, দলকে বিপদে ফেলে ফিরে যান অভিজ্ঞ রোহিত শর্মাও। ব্যক্তিগত ১ রানে জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি হার্ডহিটিং এই ব্যাটার।
অষ্টম ওভারে ইশ সোধির ঘূর্ণিতে লংঅনে ক্যাচ হন রোহিত। ১৪ বলে ১৪ রানে থামে তার ইনিংস। অধিনায়ক বিরাট কোহলিও (১৭ বলে ৯) একই পথ ধরেন, সেই লংঅনেই তুলে দিয়ে হন সোধির দ্বিতীয় শিকার।
৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি। রিশাভ পান্ত (১৯ বলে ১২) আরও একবার দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে অ্যাডাম মিলনের গতিতে স্ট্যাম্প হারান।
সেখান থেকে একটু হাল ধরেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া আর রবিন্দ্র জাদেজা। কিন্তু এদিকে তো বল শেষ হয়ে যাচ্ছিল। বাধ্য হয়েই হিট করেন হার্দিক।
১৯তম ওভারের প্রথম বলে বোল্টকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅফে ক্যাচ হন হার্দিক, ২৪ বলে করেন ২৩। শেষ পর্যন্ত এটিই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ইনিংস সর্বোচ্চ হয়ে থাকে।
নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ২০ রানে নেন ৩টি উইকেট। ১৭ রানে ২ উইকেট শিকার ইশ সোধির।
ভারতকে চেপে ধরেছে নিউজিল্যান্ড
একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে ভারত। ১৪ বলে ১৪ করে ফিরলেন রোহিত। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারানোর পর রোহিত-কোহলির ব্যাটে ভরসা করেছিল দলটি। কিন্তু কিউই বোলারদের তোপে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে প্রতিবেশি দেশটি। ১০ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৮ রান। কোহলি ৯ রানে ও ঋশভ পন্ত ৩ রানে অপরাজিত আছেন৯
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট নেই ভারতের
সাউদীর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেট হারালেন রাহুল। সাউদির বলে মিচেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। ১৬ বলে ১৮ করেছেন। ৬ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৫ রান।
রোহিতের সহজ ক্যাচ মিস
পরপর ২ বলে ২ উইকেট প্রায় হারিয়ে ফেলছিল ভারত। কিন্তু সীমানার ধারে রোহিতের ক্যাচ ফেলে দিলেন অ্যাডাম মিলনে।
বোল্টের বলে ফিরলেন ঈশান
প্রথম ধাক্কা খেল ভারত। ৪ রানে বোল্টের বলে ফিরলেন ঈশান। ওপেনিংয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত কাজে দিল না। ৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে ১২ রান।
ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল নিউজিল্যান্ড
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হেরে গেল ভারত। পাকিস্তানের পর নিউ জিল্যান্ডের কাছেও টস হেরে আগে ব্যাট করতে হচ্ছে বিরাট কোহলিদের।
ভারত ও নিউ জিল্যান্ড ম্যাচ খেলছে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। দুই দলই তাদের প্রথম ম্যাচ হেরে গেছে পাকিস্তানের কাছে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এই ম্যাচের ফল দুই দলের ওপরই বিশাল প্রভাব রাখবে।
প্রথম জয়ের খোঁজে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও নিউ জিল্যান্ড। গ্রুপ-২ এ তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পাকিস্তান। তারা শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে। বড় অঘটন না ঘটলে সেমিফাইনালে নিশ্চিত বাবর আজমের দল। অন্যদিকে খালি হাতে নিউজিল্যান্ড ও ভারত যথাক্রমে পয়েন্ট টেবিলের চার ও পাঁচ নম্বরে। দুটি দলই তাদের শেষ তিন ম্যাচ খেলবে সহজ প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
হিসাব করে বলা যায়, ভারত বনাম নিউ জিল্যান্ডের ম্যাচের জয়ী দল পাচ্ছে সেমিফাইনালের টিকিট। মানে আজকের ম্যাচটি অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল।
এই ম্যাচের আগে পরিসংখ্যান ব্ল্যাক ক্যাপদের এগিয়ে রাখছে, যা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবারের দেখায় শতভাগ সাফল্য নিউ জিল্যান্ডের। আইসিসির ইভেন্টে ১৮ বছর ধরে কিউই বাধা পার হতে পারেনি ভারত। যে কোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপে শেষ ১০ মুখোমুখি লড়াইয়ে নিউ জিল্যান্ড জিতেছে সাত ম্যাচ। ২০০৩ সালে সবশেষ জয়ের মুখ দেখে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২০০৭ ও ২০১৬ সালে দেখা হয়েছিল, দুটোই জিতেছে নিউ জিল্যান্ড। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও হার মানে ভারত। সবশেষ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালেও বিজয়ীর হাসি হাসে নিউ জিল্যান্ড। এবার কি সেই হতাশার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে ভারত?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।