Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চাহিদাপত্র অনুমোদন না হওয়ায় হয় না সংস্কার

প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নজরুল ইসলাম, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) থেকে

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকার জনগণের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়ক। ঘাটাইল শহর থেকে গুপ্তবৃন্দাবন পর্যন্ত ৩০ কি.মি. এ রাস্তাটি বর্তমানে খানাখন্দে ভরা এবং চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী। একটু বৃষ্টিতেই পানি জমে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কটি উত্তর টাঙ্গাইলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঘাটাইল উপজেলাসহ মধুপুর গড় এলাকার কৃষি ফসলাদি কলা, আনারস, কাঁঠালসহ অন্যান্য উৎপাদিত পণ্য এই রাস্তা ব্যবহার করেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। কিন্তু যোগাযোগের ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সঠিক সময়ে তা সরবরাহ করা সম্ভব হয় না এবং কৃষকরা ফসলের সঠিক মুনাফা থেকে বঞ্চিত হয়। এ রাস্তাটি উপজেলার অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম হওয়ায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সাগরদীঘি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন জানান, এ রাস্তাটি খারাপ থাকায় সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণীর মানুষ চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কামালপুর, শহরগোপিনপুর, ধলাপাড়া বাজার, কুশারিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তার এমন খারাপ অবস্থা থাকায় ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনার কারণ বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ সড়ক দিয়ে সিএনজি অটোবাইকসহ বিভিন্ন হালাকা ও ভারি যানবাহন প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। যেখানে সাগরদীঘি থেকে ঘাটাইল আসতে সর্বোচ্চ ৪০ মি. সময় লাগার কথা সেখানে সময় লাগছে দেড় ঘণ্টা। জরুরি ভিত্তিতে কোনো রোগী হাসপাতালে নিতে হলে ত্বরিৎ গতিতে নেয়া সম্ভব হয় না। ১৯৯৬ সালে ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কটি স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতর থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তাটি নিয়ে নেয়। এরপর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ক্ষোভ নিয়ে বাসচালক রহিজ উদ্দিন জানান, আমরা বড় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছি যে কোনো সময় আমাদের বিপদ হতে পারে। কিন্তু এতকিছু জেনেও পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চালাতে হচ্ছে। স্কুলশিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সাগরদীঘি-ঘাটাইল রাস্তাটি এমন ঝুঁকিপূর্ণ কোনো মহিলাকে প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে যেতে চাইলে রাস্তার বেহাল দশার কারণে পথিমধ্যেই সন্তান প্রসব হয়ে যাবে। এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান সামুকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি এই রাস্তাটি নিয়ে অনেকবার জেলা সমন্বয় মিটিংয়ে উত্থাপন করেছি তাতে কোনো লাভ হয়নি। টাঙ্গাইল জেলা সড়ক ও জনপথের সাবডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মো. জাবেদ হোসেন তালুকদারকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমরা মাঝে মধ্যে রাস্তার সংস্কার করি। কিন্তু ছোট কোনো অনুদানে এই বড় কাজের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। আমরা চাহিদাপত্র দিয়েছি অনুমোদন হলে বড় কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাহিদাপত্র অনুমোদন না হওয়ায় হয় না সংস্কার
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ