রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
রাজশাহীর তানোর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইমরুল হকের বিরুদ্ধে সরকারি শিব নদীর শাখা (উন্মুক্ত জলাশয়) জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তানোর পৌরসভার (এক নম্বর ওয়ার্ড) হরিদেবপুর গ্রামবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি), রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি), রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে, জলাশয়ের দখল নিয়ে বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জলাশয়ের দখল নিয়ে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এমনকি খুন-জখমের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার হরিদেবপুর-সুমাসপুর-দেউল হয়ে শিব নদীর একটি শাখা খাল {উন্মুক্ত জলাশয়} বয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কয়েকটি গ্রামের মৎস্যজীবীরা বংসপরম্পরায় এই খালে মাছ আহরণ ও কৃষকরা খালের পানি সেচ দিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এদিকে, এলাকার কৃষকদের সেচ সুবিধার কথা বিবেচনা করে বিএমডিএ ওই খাল খনন করে পানি ধরে রাখার জন্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্রসড্যাম নির্মাণ করেছেন। তানোর পৌরসভার এক {নম্বর ওয়ার্ড} হরিদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা আফজাল হোসেন (৩৫) ও তাসির ম-ল (৩৪) অভিযোগ করে বলেন, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল হকের সহায়তায় গণেশ ওই খাল জবরদখল করেছেন। তারা বলেন, গণেশের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে তাকে খালের দখল দিয়েছেন। সম্প্রতি তানোর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইমরুল হকের উপস্থিতিতে ও তার মদতে তালন্দ বাজারের সার ব্যবসায়ী গণেশ তার লোকবল নিয়ে হঠাৎ করেই রাতারাতি খালের প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকা জবরদখল করে খালে মাছ ধরা ও খালের পানি দিয়ে সেচ দেয়া নিষেধ বলে সেখানে সাইনবোর্ড দিয়েছেন। এলাকার কৃষক খালের পানি দিয়ে সেচ ও মৎস্যজীবীরা মাছ আহরণ করতে গেলে গণেশের লোকজন তাদের বাধা দিয়ে বলেন, এই খালে মাছ চাষ করতে তারা খাল ১০ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন। এ সময় কৃষকরা ইজারার কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এদিকে কৃষকরা সেচ দিতে ও মৎস্যজীবীরা মাছ আহরণ করতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাবশালী দখলদারদের বিরুদ্ধে তারা কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না, আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। এলাকাবাসী এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে তানোর উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কানুনগো আনিছুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে সার ব্যবসায়ী গণেশ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খাল অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকায়, এবার তারা সেখানে মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন এতে কৃষক বা মৎস্যজীবীদের কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, এলাকার কিছু ব্যক্তি তাদের কাছে থেকে আর্থিক সুবিধা না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এব্যাপারে তানোর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ইমরুল হক বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।