Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড

অস্ট্রেলিয়া : ২০ ওভারে ১২৫ ইংল্যান্ড : ১১.৪ ওভারে ১২৬/২ ফল : ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

দুই দলের চিরবৈরিতার কথা সবারই জানা। ক্রিকেটের শুরুর লগ্ন থেকেই দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়ে আসছে। তবে এবার প্রায় ১১ বছর পর বিশ্বমঞ্চে দেখা হয়েছিল ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার। এই ম্যাচে অবশ্য অ্যারন ফিঞ্চদের পাত্তাই দেয়নি ইংলিশরা। তারা ম্যাচ জিতেছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচটিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছেন বোলাররা। মাত্র ১২৫ রানেই থেমেছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪৪ রান এসেছে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাট থেকে। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট ক্রিস জর্ডানের। জবাবে ৫০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেছেন দুই ওপেনার জেসন রয়-জস বাটলার। পাওয়ার প্লেতেই দলকে এনে দিয়েছেন ৬৬ রান! বাটলারের সামনে অনেক অসহায় ছিলেন মিচেল স্টার্করা। প্রথম ছয় ওভারে ১৯ বল খেলে বাটলারের ৩৯ রান করাটা সেই ইঙ্গিতই দেয়। জেসন রয় অপরাজিত ছিলেন ২২ রানে।
দুর্দান্ত শুরু হলেও পাওয়ার প্লে শেষ হতেই অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন রয়। কিন্তু ম্যাচটা ততোক্ষণে হাত থেকে ছিটকেই গেছে অজিদের। তবুও চেষ্টায় কমতি রাখেননি বোলাররা। তবে বাটলার ছিলেন অনন্য। পাত্তা দেননি কাউকেই। ছক্কা হাঁকিয়ে করেছেন অর্ধশতক। যেই পিচে অজি ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে ব্যর্থ, সেই পিচেই মাত্র ২৫ বলে বাটলারের অর্ধশতক!
জয়টা তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। দেখার অপেক্ষায় কত বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিতে পারে মরগানের দল। এরমধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ডেভিড মালানও! কিন্তু, তবুও বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে ইংলিশরা; বাকি ছিল ৫০টি বল, আটটি উইকেট! ৩২ বল খেলে ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন বাটলার। অজিদের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন অ্যাস্টন আগার এবং অ্যাডাম জাম্পা।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের পেসাররা শুরু থেকেই তাদের চেপে রাখেন। পেসাররা বাজে কোনো বলই করেননি। গতি ও বৈচিত্র্য দিয়ে পেয়েছেন সাফল্য। এছাড়া বোলিংয়ে আসার পরপরই স্পিনারদের সাফল্য ধরা দেয়। দ্বিতীয় ওভারে ডেভিড ওয়ার্নারের (১) বিদায়ের পর স্টিভেন স্মিথকে ফেরান ক্রিস জর্ডান। এরপর ওকস আক্রমণে এসে হার্ডহিটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেটও তুলে নেন।
লেগ স্পিনার আদিল রশিদ ইনিংস উদ্বোধন করলেও সাফল্য পেয়েছেন দ্বিতীয় স্পেলে। তার গুগলিতে পরাস্ত হন রানের খাতা খোলার অপেক্ষায় থাকা স্টনিস। ফিঞ্চ ও ওয়েডের পঞ্চম জুটিতে লড়াই শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ৩৩ বলের জুটিতে আসে ৩০ রান। ওয়েড রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হন ১৮ রানে।
এরপর অ্যাস্টন আগার সঙ্গ দেন ফিঞ্চকে। দু’জনের ৩৬ বলে ৩৭ রানের জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার মুখে হাসি ফোটে। মিলসকে পরপর দুই বলে ছক্কা মারার পর অ্যাগার আউট হন ২০ রানে। শেষ দিকে প্যাট কামিন্সের ৩ বলে ১২ ও মিচেল স্টার্কের ৬ বরে ১৩ রানের ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার মান বাঁচে। অধিনায়ক ফিঞ্চ ৪৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। জর্ডানের তিন উইকেট ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন মিলস ও ওকস। তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছে জর্ডান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টি২০ কাপ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ