নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে শেষ হাসিটা হাসল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতেই লাহিরু কুমারা-দুশমন্থ চামিরার বোলিংয়ে চাপে পড়া প্রোটিয়ারা শেষমুহুর্তে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে হারিয়েছিল পথ। কিন্তু ডেভিড মিলারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এক বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে প্রোটিয়ারা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৫ রান। প্রথম বলেই কাগিসো রাবাদা এক নিয়ে স্ট্রাইক দিলেন ডেভিড মিলারকে। টানা দুই বলে ডেভিড মিলারের দুই ছক্কা। ম্যাচ ততোক্ষণে নিজের করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে চার মেরে জয় আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন কাগিসু রাবাদা। গতকাল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪২ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে মিলার ঝড়ে ১ বল আগে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা।
১৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ওপেনিং জুটিতে ২৫ রান এলেও এক ওভারে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেটে ভ্যান ডার ডুসেনের সাথে জুটি গড়েন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২৪ রানের জুটির পথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হয়ে বিদায় নেন ডুসেন। খেলেন ১৬ রানের ইনিংস। এরপর চতুর্থ উইকেটে বাভুমার সাথে দলের হাল ধরেন এইডেন মার্করাম।
দু’জনের ব্যাটে বেশ ভালোই এগোতে থাকে প্রোটিয়ারা। চতুর্থ উইকেটে দু’জনে মিলে গড়েন ৪৭ রানের জুটি। এরপর দলীয় ৯৬ রানে ব্যক্তিগত ১৯ রানের হাসারঙ্গার বলে বোল্ড আউট হয়ে বিদায় নেন মার্করাম।
শেষ ৫ ওভারে প্রোটিয়াদের দরকার ৪৭ রান, হাতে ৬ উইকেট। সেখান থেকে শেষ ৩ ওভারে দরকার ৩১ রান। ১৮ তম ওভারের প্রথম দুই বলেই বাভুমা ও প্রিটোরিয়াসকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক উইকেট শিকার করেন তিনি। নিজের আগের ওভারের শেষ বলেই পেয়েছিলেন উইকেট। মূহুর্তেই ম্যাচের মোড় পাল্টে দেন হাসারঙ্গা। শেষ ২ ওভারে দরকার ২৫ রান, ক্রিজে প্রোটিয়াদের একমাত্র ভরসা বলতে মিলার! দীর্ঘদিন স্বরূপে ফিরতে না পারা মিলারের জন্য এরচেয়ে বড় উপলক্ষ আর কি হতে পারতো? সেটা ঠিকই কাজে লাগিয়েছেন ‘কিলার মিলার’।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ২০ রানের পথে আনরিচ নর্কের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ৭ রানে ফেরত যান কুশল পেরেরা। এরপর আসালাঙ্কা ও পাথুম নিসাঙ্কার ব্যাটে দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৪১ রানের জুটি। মারমুখি ভঙ্গিতে খেলতে থাকা আসালাঙ্কা ১৪ বলে ২১ রান করে শিকার হন রান আউটের। পরের ওভারেই শূন্য রানে আউট ভানুকা রাজাপাকশে। ৬২ রানে তিন উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
এরপর শামসির শিকার হয়ে দ্রুত বিদায় নেন আভিস্কা ফার্নান্দো ও হাসারঙ্গাও! ৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকে লঙ্কানরা। দাসুন শানাকা ও নিসাঙ্কার ব্যাটে এগোতে থাকে লঙ্কাবাহিনী। একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে নিসাঙ্কা করেন ব্যক্তিগত ফিফটি। নিসাঙ্কাকে রেখেই ব্যক্তিগত ১০ রানে বিদায় নেন শানাকা। তবে একপ্রান্তে দ্রুত রান তুলতে থাকেন নিসাঙ্কা। ইনিংসের ১৯ তম ওভারে চামিকা করনারত্নে ও নিসাঙ্কাকে তুলে নেন প্রিটোরিয়াস। ৫৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭২ রানে বিদায় নেন নিসাঙ্কা।
শেষ পর্যন্ত নিসাঙ্কার ইনিংসে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে নিসাঙ্কা সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন। প্রোটিয়াদের হয়ে শামসি ও প্রিটোরিয়াস তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। তবে প্রিটোরিয়াসকে ছাপিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন শামসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।