প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি যে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিল্পী-কলাকুশলীরা। নাটক, মঞ্চ, সংগীতসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা এক হয়ে নেমেছেন রাজপথে। ব্যানার-ফেস্টুন আর স্লোগানের সঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সমাবেশ করছেন শিল্পীরা। এই প্রতিবাদের উদ্যোগ নিয়েছে টিভি সংশ্লিষ্ট ১৪টি সংগঠনের জোট ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)।
সকালে সূচনা বক্তব্যে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। যেটা আমরা ক্যামেরার সামনে বা পেছনে করি। আমরা সে কাজটি এবারও করছি। তবে রাজপথে নেমে। কিছু সাম্প্রদায়িক মানুষ আমাদের পথে নামতে বাধ্য করেছে। আমরা তাদের বলতে চাই, এদেশে উগ্রবাদীর জায়গা নেই, সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই।’
এফটিপিও-এর সভাপতি বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ এ সমাবেশ থেকে বৃহত্তর সমাবেশের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন হলো এদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে। আমরা সেই ষড়যন্ত্রকারীকে নির্মূল করতে চাই। আশ্চর্যের বিষয়, আজকে এতদিন হয়ে গেলেও তাদের চিহ্নিত করা হয়নি। আমি এই হামলার দায় স্বীকার করি। কারণ সাংস্কৃতিক কর্মীরা তারা তাদের কাজ করতে পারেনি। করতে পারলে সাম্প্রদায়িকতা এদেশে থাকত না। এ দায় আমাদেরই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে তৃণমূলে যে ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়েছে সেখানে শিল্পীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়া হয়। যা অযৌক্তিক। তার বিরুদ্ধে শিল্পীরা দাঁড়ায়নি। এটা আরও আগেই দাঁড়ানোর দরকার ছিল।’
অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যুক্ত ছিলাম। এমন ঘটনা দেখে ব্যক্তি হিসেবে আমার খুব কষ্ট হয়। প্রতিবাদ যেভাবে হওয়া উচিৎ ছিল, সেভাবে হচ্ছে না একেবারেই। রাজনৈতিক দলগুলো খুব নিভু নিভু জায়গা থেকে করছে। ভোটের রাজনীতি, ক্ষমতার রাজনীতি থেকে সরে এসে উন্নত সমাজ তৈরি করতে না পারলে আমরা কেউই নিরাপদ না।’
সমাবেশের প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন প্রযোজক-অভিনেতা ইরেশ যাকের এবং সদস্য সচিব সঞ্চালক-নির্মাতা আনজাম মাসুদ। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, তারিক আনাম খান, নিমা রহমান, গাজী রাকায়েত, ইরেশ যাকের, আহসান হাবিব নাসিম, চয়নিকা চৌধুরী, তারিন জাহান, আনজাম মাসুদ, সুমন আনোয়ার, মীর সাব্বির, মাসুম রেজা, শমী কায়সার, রাশেদ মামুন অপু, শিবলী মোহম্মদ, নাদিয়া আহমেদ, শিহাব শাহীন, হারুন অর রশিদ, শাহেদ আলী, দীপা খন্দকার, আজাদ আবুল কালাম, জয়শ্রীকর জয়া, সাব্বির, সন্দীপন, শুভ, পুলক, সমরজিৎ রায়, সাকী আহমেদ, রবিউল ইসলাম জীবনসহ অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে দেশের রংপুর, চাঁদপুর, সিলেট, কিশোরগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নিহত হয় পাঁচ জন। মামলা হয়েছে অন্তত ৭২টি। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার পাঁচ শতাধিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।