Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোয়ায় বাজিমাত মমতার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ৭:১০ পিএম

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মমতা ব্যানার্জি তার রাজনৈতিক অভিলাষ আরও বাড়িয়েছেন। বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদিকে শায়েস্তা করতে রাজধানী দিল্লিকে বাগে আনতে চাইছেন তিনি। এই বাগে আনার প্রয়াস থেকে বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। আর এই কাজে তৃণমূলের হয়ে দায়িত্বে আছেন অভিষেক ব্যানার্জি। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তবে প্রতিবেশীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছেন না মমতা। তাই তো মমতা ব্যানার্জি গোয়া সফরে রয়েছেন। তার তিন দিনের এ সফরকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল। সফরের দ্বিতীয় দিনেই সেই গুঞ্জন সত্যি হলো। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন ভারতীয় টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। তার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মমতা ব্যানার্জি জানান, লিয়েন্ডার তার দলে যোগ দেওয়ায় তিনি খুব খুশি হয়েছেন। এ সময় দিল্লির দাদাগিরি বন্ধ হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘গত সাত বছর শুধুই হারছে কংগ্রেস। কোনো এমএলএ ওপর কংগ্রেসের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কংগ্রেস।’ তিনি বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে কোনোরকম আপস করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি দাঙ্গা করে, আমরা দাঙ্গা থামাই। এটাই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থক্য। তাই বলব তৃণমূলকে একবার সুযোগ দেন।’ আরব সাগরের তীরবর্তী রাজ্যে গিয়ে একদিকে মমতা বিজেপির দিকে তোপ দাগলেন, অন্যদিকে কংগ্রেসকেও কটাক্ষ করেন।
লিয়েন্ডার পেজ ভারতের হয়ে ১৮টি গ্র্যান্ডসø্যাম ও একটি অলিম্পিক পদক জিতেছেন। ২০২০ সালের পর তিনি আর কোনো ম্যাচ খেলেননি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই তিনি অবসরের ঘোষণা দেন। এদিকে, একই দিন মমতা ব্যানার্জির হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী নাফিসা আলি।
মমতার এই উত্থান ঠেকাতে কংগ্রেস গোড়ার দিকে কিছুটা তৎপর হলেও এখন তারা হালে পানি পাচ্ছে না। কারণ প্রাচীন এই দলটি এখন নিজেদের ঘর সামলাতেই ব্যস্ত। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর তো গতকাল বলেই বসেছেন, রাহুল গান্ধীই হচ্ছে কংগ্রেসের সমস্যার কারণ। একই কথা বিশ্বাস করেন কংগ্রেসের অনেক সিনিয়র সদস্যও। আর এই সুযোগটিই নিতে চাইছেন মমতা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ