নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মনে আছে ২০১৬ সালের ফাইনালের কথা? যে ম্যাচে ইংল্যান্ডের হাতে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা দেখা শুরু করে দিয়েছিলো ক্রিকেটবিশ্ব। তবে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে বেন স্টোকসের শেষ ওভারে চার চারটি ছক্কা মেরে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতকাল ক্যারিবীয়রাও খেলেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। কিন্তু তেমন বীরোচিত কিছু ঘটেনি। কিন্তু আফগানিস্তান-পাকিস্তান ম্যাচেও দেখা গিয়েছে সে রকম এক প্রদর্শণী। তা আসিফ আলির ব্যাট থেকে। শেষ ১২ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২৪ রানের। কিন্তু আসিফের এতদূর অপেক্ষা করার সময় কোথায়! করিম জানাতের ১৯তম ওভারে ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের ইতি ঘটিয়ে দেন ৬ বল হাতে রেখেই।
তারপরই বেন স্টোকস তার টুইটারে একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘রিমেম্বার দ্য নেম, আসিফ আলি’। এই কথাটির তাৎপর্য সবাই জানেন। স্টোকস নিজেও শুনেছিলেন, ‘রিমেম্বোর দ্য নেম, কার্লোস ব্রাথওয়েট’। একই উক্তি, তবে বদলেছে নাম, বদলেছে প্রতিপক্ষ। তবে আসর ঠিকই আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
টানা তিন ম্যাচেই জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য পাকিস্তান। গতকাল নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মেন ইন গ্রিনরা আফগানিস্তানকে হারিয়েছে পাঁচ উইকেটে। আরব আমিরাত বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন বাবর আজম। টসে জিতে আফগানিস্তান শুরুতে ব্যাটহাতে ৬ উইকেটে ১৪৭ রানের লড়াকু পুঁজি দাঁড় করায়। জবাবে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। মুজিব-উর-রহমানের বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন নাভিন-উল-হকের হাতে। নিজের চার ওভার মুজিব শেষ করেছেন ১ উইকেটে মাত্র ১৪ রান দিয়ে। প্রথম উইকেটের পতনের পর ফখর জামান-বাবর আজমের ৬৩ রানের জুটিতে ভালোভাবেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে মেন ইন গ্রিনরা। দুই চার এবং এক ছয়ে ৩০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফখর। পরপরই রশিদ খানের শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শিকার হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন মোহাম্মদ হাফিজও।
শেষ চার ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৩৮ রান। ব্যাট হাতে বাবরের সঙ্গী শোয়েব মালিক। রশিদের দ্বিতীয় বলেই মালিকের ছক্কা, কিন্তু শেষ বলে বোল্ড ৫১ রান করা বাবর আজম। নিজের চার ওভারের স্পেলটা রশিদ শেষ করেছেন ২৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে। বাবরের ফেরার পর স্বপ্ন দেখাচ্ছিল মালিকের ব্যাট, কিন্তু ১৯ রান করে দলকে জয় থেকে ২৪ রান দূরে রেখেই ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন তিনিও। ১৮ তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার বল করতে এসে নাভিন দিয়েছেন মাত্র ২ রান, তুলে নিয়েছেন মালিকের উইকেটটাও!
মালিক ফিরলেও দলকে ঠিকই জয় এনে দিয়েই মাঠ ছেড়েছেন আসিফ আলি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে ২৭ রান করার পর, আফগানিস্তানের বিপক্ষেও খেলেছেন ৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস। এই বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তারই হাতে।
এর আগে টসে জিতে আফগান দলপতি মোহাম্মদ নবীর ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করে শুরুতেই প্যাভিলিয়নের পথে চার ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে আফগানদের খেলায় ফেরানোর কাজটা নিজেদের করে নিয়েছেন আসগর আফগান-রহমতুল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু দুজনেই ফিরেছেন সমান দশ রান করে। করিম জানাতের ব্যাট থেকে ১৫ এবং নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাট থেকে ২২ রান এলেও, আফগানিস্তানের সংগ্রহটাকে ১৪৭ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছেন মোহাম্মদ নবি-গুলবাদিন নাইব।
দু’জনেই ছিলেন অপরাজিত, করেছেন সমান ৩৫ রান করে। সপ্তম উইকেট জুটিতে যোগ করেছেন ৭১ রান, শেষ তিন ওভারে ৪৩! পাকিস্তানের হয়ে ইমাদ ওয়াসিম নিয়েছেন সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট। এছাড়া শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, হাসান আলি ও শাদাব খান প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
আগামীকাল নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নামিবিয়ার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান। আর ২ নভেম্বর একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলবে পাকিস্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।