Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুষ্টিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার ১৩ বছরের কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ও হিসাবপত্র বিকৃত করার অপরাধে কৃষি ব্যাংকের সাবেক এক কর্মকর্তার ১৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কৈপাল গ্রামের মৃত আসগর আলীর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন।
আসামি হাফিজুর রহমানকে পেনাল কোডের ৪০৯ ধারায় অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করার অপরাধে ও ৪৭৭ (ক) হিসাবপত্র বিকৃত করার অপরাধে এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধমূলক অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে ১৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ আদালতের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেছেন।
দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাফিজুর রহমান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ডাংমড়কা শাখায় কৃষি ব্যাংকের পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে আই ও রশিদের মাধ্যমে আদায়কৃত টাকার মধ্যে ৯৫টি আই ও রশিদে নিজে স্বাক্ষর করে ৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৪ টাকা আদায় করেন। তৎকালীন সময়ে ওই ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে টাকা হস্তান্তর না করে অবৈধভাবে নিজেই আত্মসাৎ করেন হাফিজুর রহমান।
এ অভিযোগে ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় মামলাটি করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল গাফফার। মামলাটি দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তের পর আদালতে ওই মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২৮ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
দুদকের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু জানান, মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি হাফিজুর রহমানকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজার আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ