Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মৃত্যু-ধর্ষণের গল্প ছড়ানো হচ্ছে সরকারকে বিব্রত করতে

হিন্দুদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে বিবিসিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৩৪ পিএম

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অভিযোগ করেছেন যে, সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা সম্পর্কে কিছু অতি উৎসাহী গণমাধ্যম বানোয়াট গল্প রটাচ্ছে। তিনি বলেন, এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত মাত্র ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের চার জন মুসলিম এবং দু’জন হিন্দু। তিনি আরো বলেন, এসব হামলার ঘটনার সময় কোন হিন্দু নারী ধর্ষণের শিকার হননি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের হামলার ব্যাপারে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন যখন বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে, সেরকম এক প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিবৃতি দিলেন।
গত বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে তিনি বলেন, ওই সহিংসতার ঘটনায় নিহত ৬ জনের মধ্যে ৪ জন মুসলমান এবং তারা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
সহিংসতায় যে ২ জন হিন্দু মারা যান, তাদের মধ্যে ‘একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এবং অন্যজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন’ বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার ভাষায়, ‘কিছু অতি উৎসাহী গণমাধ্যম ও ব্যক্তিবর্গ’ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মৃত্যু এবং ধর্ষণের নানা গল্প ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, ‘কাউকে ধর্ষণ করা হয়নি এবং একটি মন্দিরেও অগ্নিসংযোগ বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি’। তবে কিছু দেবদেবীর মূর্তি বা প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। এর পেছনে জড়িত সব অপরাধীদের ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এখন তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এই বিবৃতির বিষয়ে কথা বলতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, এ নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর খবর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথাযথ তথ্য নিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানিয়েছেন।
সহিংসতায় যেসব বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে সেগুলো পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে। মূলত ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ শেখ হাসিনা সরকারকে বিব্রত করার জন্য এমনটা করা হচ্ছে বলে তিনি ওই বিবৃতিতে অভিযোগ করেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিটি স্থানে এমনকি মানুষের ঘরে ঘরে পূজা ম-পের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন যে, সরকার প্রতিটি ম-প বাবদ অর্থ প্রদান করে থাকে। কিন্তু সপ্তাহে ২৪ ঘণ্টা এই বিপুল সংখ্যক ম-প পর্যবেক্ষণে রাখার মতো যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ বাহিনী নেই। এ ধরনের সহিংস ঘটনা এড়াতে তাই পূজা ম-প আয়োজকদের উচিত তাদের ম-পগুলো নজরের বাইরে না রাখা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি পূজা ম-পে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি পবিত্র কোরআনের একটি কপি মন্দিরে দেবতার মূর্তির পায়ের কাছে রেখে চলে যায়। সে সময় মন্দিরের ভেতরে কোন উপাসক বা আয়োজক কেউ ছিলেন না। পরে অন্য আরেক ব্যক্তি মন্দিরে দেবতার পায়ে কোরআনের ওই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে আপলোড দেয়। এ ঘটনাকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাঙচুর এবং লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।



 

Show all comments
  • Bepu Sheikh ২৯ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৩৮ পিএম says : 0
    জীবনে এই প্রথম আপনার মুখে ভালো কথা শুনলাম
    Total Reply(0) Reply
  • Ashraf Hossain ২৯ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৩৮ পিএম says : 0
    এটাও ঠিক
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar Hossain ২৯ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৩৯ পিএম says : 0
    ঠিক বলেছেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ