বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছে ৬ জন। একটি প্রাইভেট কার ও ৪টি মোটর সাইকেল সহ নির্বাচনী অফিস ভাংচুড়ের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮অক্টোবর) রাত ১০টার সময় উপজেলার তোররা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হরিপুর সদর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (চশমা মার্কা) ও নজরুল ইসলামের (ঘোড়া মার্কা) সমর্থকদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে দক্ষিন তোররা গ্রামে এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুলের নিজস্ব প্রাইভেট কার ও ৪ টি মোরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এতে উভয়পক্ষ আহত হয়েছে ৬ জন। পরে ঐরাতেই ঘটনার জের ধরে রফিকুলের নির্বাচনী অফিস ভাংচুড় করে প্রতিপক্ষরা। বিক্ষুব্ধরা চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করা সহ নির্বাচনী পোষ্টার ছিড়ে ফেলে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে হরিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। হরিপুর থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুলের দাবি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নজরুলের লোকজন তোররা গ্রামে তার নির্বাচনী বৈঠকে হামলা করে গাড়ি ভাংচুর করে এবং কর্মী সমর্থকদের মারপিট করে আহত করে। পরে তারা আবার তোররা বাজারে তার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়।
এদিকে প্রতিপক্ষের উপর হামলা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, তার লোকজন কারো উপর হামলা করেনি বা কারো অফিস ভাংচুর করেনি। নিজেরাই এমন ঘটনা ঘটিয়ে আমার উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
হরিপুর থানা পরিদর্শক (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১১নভেম্বর হরিপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।