শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৫৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উদ্বোধনী জুটিতে ৬.৫ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৭০ রান জমা করেন তারা। ২৩ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৩৭ রান করে ফেরেন ফিঞ্চ।
বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলংকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনার পরও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি শ্রীলংকা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক উইকেটে ৭৮ রান করা দলটি এরপর মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান তুলতে সমর্থ হয় শ্রীলংকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে করেন কুশাল পেরেরা ও চারিথ আসালঙ্কা। ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ভানুকা রাজাপক্ষে।
আগে ব্যাট করতে নেমে ২.৩ ওভারে দলীয় ১৫ রানে ফেরেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে চারিথ আসালঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ৪৪ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন ওপেনার কুশাল পেরেরা।
এরপর মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় শ্রীলংকা। দলীয় ৭৮ রানে ২৭ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রান করে ফেরেন আসালঙ্কা। মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে ফেরেন ওপেনার কুশাল পেরেরাও। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় করেন ৩৫ রান।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন আভিস্কা ফার্নান্দো ও ওয়ানেন্দু হাসারঙ্গা। দুজনেই ৪ রান করে ফেরেন। সাত নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তিনি ১৯ বলে মাত্র ১২ রান করে ফেরেন।
তবে পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা ভানুকা রাজাপক্ষে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে যান। তার ২৬ বলের অপরাজিত ৩৩ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান তুলতে সমর্থ হয় শ্রীলংকা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিসেল স্টার্ক, পেট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পা দুটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন।