পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যে আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি কারণে সবাই কষ্টে আছে। এই সরকার যদি দায়িত্বে থাকে তাহলে দ্রব্যমূল্য কমার কোনো সম্ভাবনা নাই। কারণ দ্র্রব্যমূল্যের আরো বাড়বে। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। জনগণের কাছে তারা দায়বদ্ধ না, জবাবদিহি করতে বাধ্য না। কাজেই এমন সরকার দরকার যে সরকারকে আমরা নির্বাচিত করব, যারা আমাদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন হবে। বিএনপির নেতৃত্বেই হবে ইনশাল্লাহ। কারণ অতীতেও তাই হয়েছে। যত নির্যাতন, যত সংকট হোক মনে রাখবেন শেষ পর্যন্ত বিজয় হয় যারা আপোষহীনভাবে লড়াই করে গণতন্ত্রের জন্য।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ৮ মাসে ৭ বার সোয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। জানুয়ারির পরে অক্টোবরে এসে সোয়াবিনের মূল্যে প্রতি লিটারে ৪৫ টাকা টাকা। ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়েছে বলে করোনার কারণে তেলের দাম বাড়িয়ে দিলেন। তেলের দাম বাড়ানোর জন্য শ্রমজীবী মানুষের যে লোকসান হলো এটা পূরণ করার জন্য তার বেতন বাড়ালেন না কেনো? উচিত ছিলো বাড়ানো।
টিসিবির এক বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে নজরুল ইসলাম খান বলেন, টিসিবের হিসেবে গত এক বছরে চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ, আটা বেড়েছে ১৩ শতাংশ, ময়দা বেড়েছে ৩০ শতাংশ, সোয়াবিন ৪৯ শতাংশ, পাম ওয়েল ১২ শতাংশ, চিনি ২৬ শতাংশ, মসুরীর ডাল ২৯ শতাংশ, রসুন ৪১ শতাংশ এবং পেঁয়াজ ৪২ শতাংশ। তাহলে গড়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলোর। যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্য গত এক বছরে ৩৫ শতাংশ বেড়ে থাকে তাহলে গত ১ বছরের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের মজুরী ও বেতন যদি শতকরা ৩৫ ভাগ বাড়তো তাহলে তারা আগের মতো চলতে পারতো। কিন্তু বেড়েছি কি? ২০১৬ সালের পরে কারো বেতন বাড়েনি।
কুমিল্লার পূজামন্ডপে কেনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা ছিলো না প্রশ্ন তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কুমিল্লার পূজামন্ডপে দুইটা আনসারও কেনো থাকলো না। আজকে বিএনপি যদি ২০টা লোক নিয়ে মিছিল করে তার পেছনে ৩০ জন থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। আমরা অনুরোধ করবো, তদন্ত বিভাগ আছে, সঠিকভাবে তদন্ত করুন। যারা সত্যিকারভাবে জড়িত তাদের গ্রেফতার করেন, সাজা দেন, যেকোনো কিছু করেন আমরা সমর্থন জানাবো। কিন্তু অন্যায়ভাবে কাউকে ক্ষতিগ্রস্থ করবেন না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কুমিল্লার পূজামন্ডপের ঘটনায় যাদের নাম উঠে আসলো পত্র-পত্রিকায় সবই কিন্তু যুবলীগ, ছাত্রলীগ। রংপুরের পীরগঞ্জে যে ছেলেটি জড়িত তার নাম সৈকত মন্ডল। তাকে ছাত্রলীগ বহিস্কার করেছে। তারপরেও সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। নোয়াখালীর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক ছেলেকে ধরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে নাম বলানো হচ্ছে কার? বিএনপি, যুবদলের নেতাদের, সুমনকেসহ আরো অনেক গ্রেপ্তার করানো হয়েছে, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুর নামে মামলা দেয়া হয়েছে। এরকম রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে থাকলে আর শেখ হাসিনার মতো প্রধানমন্ত্রী থাকলে দলের একজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে রিমান্ডে নিয়ে পিটিয়ে অকথ্য নির্যাতন করে তার মুখ দিয়ে শিখানো কথা বলানো কী অসম্ভব ব্যাপার? তাহলে ওরা কারা? সৈকত মন্ডল কে? খোকন মনি কে, মেহেদি হাসান কে? যাদের নাম পত্র-পত্রিকায় আসলো তাদের নাম হাওয়া হয়ে গেলো, আার যারা ন্যুনতম যুক্ত নয় তাদেরকে পিটিয়ে রিমান্ডে নাম বলানো হচ্ছে। আজকে এই ধরনের মিথ্যাচার, অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে দেশে।
সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ-উজ জামান মোল্লা, শ্রমিক দলের আবুল খায়ের খাজা, মোস্তাফিজুর রহমান মজমুদার, মিয়া মিজানুর রহমান, কাজী মো. আমীর খসরু, খন্দকার জুলফিকার মতিন, মাহবুব আলম বাদল, সুমন ভুঁইয়া, মজিবুর রহমান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।