পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আপত্তিতে বাংলাদেশ পাত্তা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইইউয়ের আপত্তি বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের গণমাধ্যমগুলো বিদেশিদের কথায় বেশি হইচই করে বলেও অভিযোগ করেন ড. মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, কে কী আপত্তি করল না করল, তাতে আমাদের কী। তারা আপত্তি করলে আমরা তাদের বোঝাব, আমরা আমাদের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে এটা করেছি। অনেক লোকে অনেক আপত্তি করে। আপত্তি ওরা করুক, তাতে আমাদের কী? তারা অনেক সময় বকবক করবে। কিন্তু আমরা আমাদের মঙ্গলের জন্য যা দরকার করব। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ভর্তুকি এবং পদ্মা সেতু নিয়ে বিদেশিদের আপত্তির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকির সিদ্ধান্ত নিলে বিদেশিরা অনেক আপত্তি করেছে। আমাদের বড় বড় বন্ধু রাষ্ট্রসহ বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ বলেছিল, আপনারা পারবেন না। এক বছর আইএমএফ আমাদের এফডিআই তুলতে দেয়নি। কিন্তু দেখুন, এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পদ্মা সেতুর কথা বলি, বিশ্ব ব্যাংক আমাদের ওপর ক্ষেপে গেল। কত রকম ঢংঢাং বের করল। পয়সা দেওয়ার আগেই বলে, এখানে চুরির মহড়া চলছে। প্রধানমন্ত্রী তা অগ্রাহ্য করে ফল তাদের দেখিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চতুর্থ কূটনৈতিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ইইউ বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইইউ জানায়, এ আইনের কিছু বিধানে ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিবৃত উদ্দেশ্যের বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ প্রসঙ্গে কিছু চলমান বিচারের বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে বলেও জানিয়েছে ইইউ। অবশ্য বাংলাদেশ এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা হুশিয়ারি দেয়, তারা যে আমার কাছ থেকে কাপড় নেয়, সেটা কিন্তু দয়া বা বাধ্য হয়ে নয়; সস্তা দরে নেয়। বিশ্ব ব্যাংক যে আমাদের টাকা দেয় এর অর্থ এই নয় যে, তারা আমাদের দয়া করেছে। তারা টাকা দেয়, কারণ টাকা না দিলে তাদের চাকরি চলে যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।