নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কুইন্টন ডি কক। কারণটা ছিল প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচগুলোর আগে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একাত্মতা প্রকাশে সব ক্রিকেটারকে হাঁটু গেড়ে বসতে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) নির্দেশ।
হাঁটু গেড়ে বসতে সিএসএর নির্দেশ অমান্য করে সতীর্থ ও সমর্থকদের কষ্ট দেওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে এক বিবৃতি দিয়ে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। বোর্ড ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে গত রাতে ‘আবেগঘন’ আলাপের দলের অভিপ্রায় ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন বলে ডি কক জানান। একই সঙ্গে দেশের হয়ে আবার ক্রিকেট খেলতে পারার চেয়ে বড় কিছু নেই বললেন তিনি।
তাতে করে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে দলে ঢুকতে আর সমস্যা হবে না ডি ককের। শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে তাকে।
গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে ক্রিকেট নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে এ বিষয়ে অনেক আলোচনা করেছেন বলে ডি কক জানান। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনো বিষয়টিকে কুইন্টন ইস্যু বানাতে চাইনি। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একাত্মতার গুরুত্ব আমি বুঝি। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের দৃষ্টান্ত তৈরি করার দায়িত্বটাও বুঝি। যদি আমি হাঁটু গেড়ে বসায় অন্যদের শিক্ষা দেওয়ায় ও ভালোভাবে বেঁচে থাকতে সহায়ক হয়, তাহলে আমি সেটা করতে পেরে অনেক বেশি খুশি হব।’
নিজেকে প্রকাশ করার সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করে ডি কক তার সতীর্থদের, বিশেষ করে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি নিজেকে প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই। কিন্তু এমন কিছু করায় আমি কতটা দুঃখিত সেটা বোঝাতে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমার সতীর্থদের সবাইকে ভালোবাসি। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ক্রিকেট খেলার চেয়ে আমি আর বেশি কিছু ভালোবাসি না। আমি আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সমর্থনের জন্য, বিশেষ করে অধিনায়ক টেম্বাকে। অনেকেই স্বীকার করবে না, কিন্তু সে একজন অসাধারণ নেতা। সে ও দল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা যদি আমাকে চায়, আমি আবার দেশের হয়ে খেলতে চাই। আর বেশি কিছু চাই না।’
সিএসএ ডি ককের এই বক্তব্য ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেছে এবং তিনিও পরের ম্যাচ থেকে হাঁটু গেড়ে বসতে রাজি হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড বলছে, ‘বর্ণবাদের বিরুদ্ধে একাত্মতা একটি নৈতিক ব্যাপার, কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।