নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের টি-টেয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের ধারায় থাকতে চায় শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়া। এ লক্ষ্যে আসরের সুপার টুয়েলভে আজ পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় শুরু হবে দিনের একমাত্র ম্যাচটি। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে গ্রæপ-১ তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে দু’দলই। অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আর শ্রীলঙ্কা জিতেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বে ‘এ’ গ্রæপ সেরা হয়েই সুপার টুয়েলভে এসেছে লঙ্কানরা। বাছাইয়ে তিন ম্যাচের সবগুলোতেই জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসী শ্রীলঙ্কা পরের রাউন্ডে আরো ভালো করার আশা নিয়েই সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়। ম্যাচে তারা ৫ উইকেটের জয় পেলেও অনেকটা ভাগ্যের জোড়ে হারায় বাংলাদেশকে। শারজাহয় অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭১ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপে ৭৯ রানেই ৪ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৯২ রানের প্রয়োজন পড়ে শ্রীলঙ্কার। আস্কিং রান রেট বেড়ে যাওয়ায় দ্রæত রান তুলতে মরিয়া ছিলেন তখন ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটার চারিথ আসালঙ্কা ও ভানুকা রাজাপাকসে। দ্রæত রান তুলতে গিয়ে ১৩ ও ১৫তম ওভারে ক্যাচ দেন আসালঙ্কা ও রাজাপাকসে। দু’টি ক্যাচই ফেলেন লিটন দাস। জীবন পেয়ে বাংলাদেশের হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন আসালঙ্কা ও রাজাপাকসে। ষষ্ঠ উইকেটে ৫২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি গড়েন তারা। এতেই ৭ বল বাকী থাকতে দারুণ এক জয়ের স্বাদ পায় শ্রীলঙ্কা। মূলত এ জয়েই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এখন জয় পেতে মরিয়া লঙ্কানরা। তাই তো গতকাল শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক শানাক বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের পর ছেলেরা ফুরফুরে মেজাজে আছে। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ম্যাচেও আমরা জিততেই মাঠে নামবো।’
শ্রীলঙ্কার মতই সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তারাও ৫ উইকেটে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৮ রানেই আটকে দেয় অজিরা। তবে ১১৯ রানের সহজ টার্গেট স্পর্শ করতে কিছুটা বেগ পেতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। শেষ ওভারে গিয়ে জয়ের দেখা পায় তারা। ব্যাট হাতে স্টিভেন স্মিথ ৩৫ ও মার্কাস স্টয়নিস অপরাজিত ২৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলেও দলের পারফরম্যান্সে ততটা সন্তুস্ট নন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তবে লঙ্কানদের বিপক্ষে তার দল ভালো করবে বলে আশাবাদি তিনি। ফিঞ্চ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে বোলাররা ভালো করলেও, ব্যাটাররা তেমন ভালো করতে পারেনি। আশা করি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ভালো খেলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে।’
টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পাল্লা সমানে-সমান। এখন পর্যন্ত ১৬ দেখায় সমান ৮ বার করে জিতেছে দু’দল। ২০১৯ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিলো শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রৈলিয়া। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল অজিরা।
আর বিশ্বকাপে তিনবারের দেখায় দুইবার অস্ট্রেলিয়া ও একবার শ্রীলঙ্কা জয়ের দেখা পায়। তবে ২০১০ সালের পর আর বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি হয়নি দু’দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।