পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, শেয়ারবাজারে লাভের পাশাপাশি ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বেই শেয়ারবাজার একইভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। লাভের জন্য আপনি আসবেন, কিন্তু ঝুঁকির বিষয়টিও আপনার মাথায় রাখতে হবে। একই সঙ্গে দেশে জ্বালানির দাম যেভাবে বাড়ছে, ঠিক একইভাবে খাদ্যশস্যের দামও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গতকাল অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়, বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
শেয়ারবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা সবসময় আমাদের যে দায়িত্ব সেটা পালন করবো। সেটা হলো সরকারের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দেয়া, এটি সরকার দিয়ে যাবে। তবে কেউ যদি অনেক লাভের জন্য কোনো কিছু চিন্তা না করেই বিনিয়োগ করেন তাহলে তো হবে না। বাজারেরও তো একটি ভিত্তি আছে, সেটা হলো অর্থনীতি। তাই অর্থনীতি যতো শক্তিশালী হবে ততই শেয়ারবাজার শক্তিশালী হবে। অন্য কোনোকিছু দিয়ে এটিকে প্রভাবিত করার সুযোগ নেই। আমি সবসময় বলি সবাই বুঝে শুনে বাজারে আসবেন। বাজারটিতে দৈনিক লেনদেন হচ্ছে। দৈনিক উঠানামা করছে। সুতরাং এটা অনেক বেশি সেনসিটিভ। এই জায়গাটিতে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যারা শেয়ারবাজারের সঙ্গে জড়িত তারা এটি সম্পর্কে জানেন। তারা বুঝে শুনেই বাজারে এসেছেন। সরকার যেখানে যা দরকার তা করছে। এখানে যে সাপোর্ট দরকার সেটিও দেয়া হচ্ছে। বাজেটে তাদের সাপোর্ট দিয়েছি। তার বাইরে গিয়ে কেউ যদি কিছু করে তাদের কিন্তু সরকার দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে পারে না।
সরকারি ২৬ প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, একবার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, বিভিন্ন কারণে সেটি হয়নি। বাজারে যখন কোনো ভালো শেয়ার থাকে না তখন একদিকে মার্কেট বেশি চলে যায়। সারাবিশ্বে এটি হয়। সেজন্য এমন সমস্যা থাকলে সরকার বাজেট দিয়ে বাজার ভারসাম্য রাখে। সেজন্য আমরা উদ্যোগটি নিয়েছিলাম। দেখা গেলো, আমাদের মার্কেটে যে পরিমাণ শেয়ার থাকা দরকার ছিলো সেটি আছি। সেজন্য সরকারকে আর সেই কাজ করতে হয়নি।
এলএনজি (তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস) নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে ইনফ্লেশন আমাদের ধারণার মধ্যেই আছে। ওভারঅল ইনফ্লেশন বাড়েনি। আমরা প্রতিনিয়ত এটা পর্যালোচনা করেই আপডেট নিই। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তবে জ্বালানির দাম যেভাবে বাড়ছে, খাদ্যশস্যের দামও সেভাবে বাড়ছে।
তিনি বলেন, ডলারের দাম তো আমরা ফিক্স করে রাখিনি। এটা ফিক্সড না। এটা ডিমান্ড ও সাপ্লাইয়ের ওপর নির্ভর করে। ডিমান্ড যদি বেশি থাকে আর সাপ্লাই যদি কম থাকে তাহলে ডলারের দাম বাড়বে। এটা স্বাভাবিকভাবেই এডজাস্ট করে নেয়। অতীত থেকে আমরা যেভাবে করে আসছি, সেভাবেই হয়ে আসছে। এখানে আইএমএফ কী বলেছে, আমি জানি না।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ডলার বেচাকেনা কীভাবে হয়? ব্যাংকগুলোর কাছে যখন ডলারের পরিমাণ বেশি থাকে তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু ডলার কিনতে পারে। অন্যান্য দেশেও এমনটা হয়ে থাকে। অন্যান্য দেশে এটা ফিক্সড করা থাকে, মার্কেট আপগ্রেড করুক বা না করুক, ফিক্সড রেটেই নিতে হবে। আমাদের দেশে এমন নয়।
এদিকে বাংলাদেশের কাফকো, কাতারের মুনতাজাত ও সউদী আরবের সউদী বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন থেকে আরও ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার ক্রয়ের পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৫ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ১৯৫ টাকা। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন।
তিনি বলেন, ক্রয়-কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে ৩টি উপস্থাপনসহ) ৬টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ১টি, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১টি এবং জননিরাপত্তা বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। এর মধ্যে ক্রয় কমিটি ৫টি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে এবং একটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। অনুমোদিত ৫টি প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৯৪ কোটি ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৪ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ৫২৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৯ টাকা এবং দেশি ব্যাংক হতে ঋণ ৫৬৫ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ১৯৫ টাকা।
প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কাফকো বাংলাদেশ হতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৮৫ কোটি ৮৫ লাখ ১১ হাজার ৬২৫ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার টন ২ বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার ১৮৯ কোটি ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭০ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (এসএবিআইসি), সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৯০ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।