নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এ ম্যাচে একজন পেসারের অভাব বোধ করেছে কিউইরা, ম্যাচ শেষে এমন কথা বলেছেন দেশটির প্রধান কোচ গ্যারি স্টিড। তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে পেসার হিসেবে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টকে খেলায়। অপরদিকে স্পিনার হিসেবে খেলেন ইশ সোদি ও মিচেল সান্টনার।
আর একজন পেসার কম নিয়ে খেলার জন্য নিউজিল্যান্ড দায়ী করছে আইসিসিকে। কারণ আইসিসির নিয়মের বেড়াজালে পরে বাবরদের বিপক্ষে দলে একজন পেসার কম নিয়ে নামতে হয়েছে তাদের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে খেলার কথা ছিল বর্তমানে তাদের সবচেয়ে বড় গতি তারকা লুকি ফার্গুসনের। কিন্তু ম্যাচের দিন সকালে তারা জানতে পারে ফার্গুসন ইনজুরিতে পরেছেন, তার ইনজুরিটা মোটমুটি গুরুতর। ফলে পুরো বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যান তিনি।
নিউজিল্যান্ড দল তাই লুকি ফার্গুসনের জায়গায় খেলাতে চেয়েছিল অ্যাডাম মিলনেকে। তবে মিলনে দলে ছিলেন অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে। মানে ১৫ সদস্যের মূল দলের বাইরে ছিলেন তিনি। ফলে তাকে মূল দলে নিতে আইসিসির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হত নিউজিল্যান্ডকে। নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করেও তারা। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার দেড় ঘন্টা আগে নিউজিল্যান্ডকে জানানো হয় মিলনে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না। কারণ কোন দল যদি স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার আবেদন করে তাহলে ওই দিনই তারা অনুমতি দেয়না নাকি। অবশেষে মিলনেকে দলে নেয়ার ছাড়পত্র নিউজিল্যান্ড পায় দুই দলের লড়াই শেষ হওয়ার ৪০ মিনিট পর।
আর এ বিষযটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন কিউই কোচ। এ ব্যপারে ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'আমরা খেলোয়াড় বদল করানোর জন্য আইসিসির কাছে অনেক চেস্টা করেছি। কিন্তু তা হয়নি। এটা আমাদের জন্য হতাশাজনক ছিল। কারণ মিলনে ছিল লুকি ফার্গুসনের ইনজুরির বদলি খেলোয়াড়।'
'আমরা বলছি না মিলনে থাকলে নিশ্চিতভাবে ম্যাচের ফলাফল বদলে যেত। কিন্তু আমাদের জন্য, পিচের যে কন্ডিশন ছিল, ফার্গুসন বা মিলনে যেভাবে বল করে, বিষয়টি হয়ত অন্যরকম হত। আমি মনে করি হারিস রউফ পার্থক্য হতে পারে এটি দেখিয়ে দিয়েছে।'
'আমাদের বলা হয়েছে যেদিন আবেদন করা হয়, সেদিন (ওই দিন ম্যাচের জন্য) তারা ছাড়পত্র দেয় না। কিন্তু এর কারণ আমরা জিজ্ঞেস করব ও উত্তর জানতে চাইব।'
প্রধান কোচ গ্যারি স্টিড জানান তাদের পরিকল্পনায় ইশ সোদি ছিলেন না। কারণ পিচ ছিল পুরোপুরি পেসারদের। মিলনেকে খেলতে না দেয়ায় তিনবার একাদশের পরিকল্পনা বদলাতে হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে আইসিসির এমন সিদ্ধান্তকে নাটক বলে আখ্যায়িত করেছে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম বড় সংবাদমাধ্যম নিউজিহেরাল্ড। তারা বলেছে এমন উদ্ভুদ নিয়মের কারণে সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।