নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবার চেয়ে এগিয়ে বিরাট কোহলি আর উইকেটের দিক থেকে লাসিথ মালিঙ্গা। বিশ্বে যে পাঁচজন ক্রিকেটার রানের দিক থেকে সেরাদের তালিকায় আছেন তার মধ্যে দু’জনই ভারতের।
বিরাট কোহলি: বিরাট কোহলিকে অনেকেই আধুনিক ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান মনে করেন। তিনি ৯০ ম্যাচে ৩১৫৯ রান তোলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। এই ফরম্যাটে একমাত্র তারই তিন হাজারের বেশি রান আছে।
বিরাট কোহলির গড় ৫২, স্ট্রাইক রেট ১৩৯। ২৮ বার অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি।
মার্টিন গাপটিল : আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা রান সংগ্রাহকদের তালিকায় কোহলির পরেই আছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার মার্টিন গাপটিল। তার রান ২৯৩৯। গড় ৩২। স্ট্রাইক রেট ১৩৬। গাপটিলের ব্যাট থেকে দুটি টি-টোয়েন্টি শতক এসেছে।
রোহিত শর্মা : তিন নম্বরে আছেন রোহিত শর্মা। তার ব্যাট থেকে চারটি টি-টোয়েন্টি শতক আছে। ৩২ গড় এবং ১৩৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। রোহিত শর্মা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সফলতম ব্যাটসম্যানদের একজন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও তার নেতৃত্বে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজ।
পল স্টার্লিং : চার নম্বরে আছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং, যিনি ৮৯ ম্যাচে ২৪৯৫ রান তুলেছেন। তিনি একটি শতক ও ১৯টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন তিনি। ৩০ গড়ে ১৩৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন।
অ্যারন ফিঞ্চ : পাঁচ নম্বরে অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ। এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট ফিঞ্চের ১৫০। ৩৭ গড়ে ব্যাট করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলেছেন ফিঞ্চ- ১৭২। ৭৬ ইনিংসে ২৪৭৩ রান তুলেছেন তিনি।
ক্রিস গেইল : তবে এই পাঁচজন এগিয়ে থাকলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের সবচেয়ে বিনোদন দেয়া ব্যাটসম্যান মনে করা হয় ক্রিস গেইলকে। তিনি ৭০ ইনিংস ব্যাট করে ১৮৫৪ রান তোলেন, ২৯ গড়ে, প্রায় ১৪০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। টি-টোয়েন্টি শতক হাঁকিয়েছেন দুটি এবং অর্ধশতক ১৪টি।
লাসিথ মালিঙ্গা : বোলারদের তালিকায় সবার ওপরে আছে শ্রীলঙ্কার ইয়র্কার স্পেশালিস্ট লাসিথ মালিঙ্গা। পরিসংখ্যানের দিক থেকে মালিঙ্গা বিশ্বের সবচেয়ে সফল টি-টোয়েন্টি বোলারদের একজন। ৮৪ ইনিংসে তিনি ১০৭টি উইকেট নিয়েছেন। ২০ গড় ইকোনমি রেট ৭.৪২। মালিঙ্গার সেরা বোলিং ফিগার ৬ রানে ৫ উইকেট। মালিঙ্গা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুইবার পাঁচটি বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন।
সাকিব আল হাসান : লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। ১০৮টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সাকিবের সামনে সুযোগ এক নম্বরে জায়গা করে নেয়ার। সাকিবের বোলিং গড় ২০ দশমিক ৬৮। ইকোনমি রেট ৬ দশমিক ৭৩।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০১১ থেকেই নিয়মিত খেলছেন তিনি। এর বাইরে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, পাকিস্তান সুপার লিগেও খেলেছেন। সাকিব আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০ বা তার বেশি উইকেট নেয়া দ্বিতীয় বোলার।
টিম সাউদি : টিম সাউদি আছেন এই তালিকার তিন নম্বরে, তিনি ৯৯টি উইকেট পেয়েছেন। গড় ২৫ দশমিক ১৭।
তবে ইকোনমি রেট অনেক বেশি। ওভারপ্রতি ৮ দশমিক ৩৯ করে রান দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার।
তবে ম্যাচের শেষদিকে বেশ কার্যকরী বোলার টিম সাউদি। তিনি একবার চারটি ও একবার পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন এক ইনিংসে।
শহীদ আফ্রিদি : শহীদ আফ্রিদি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসের সফলতম ক্রিকেটারদের একজন। ব্যাট হাতে তিনি ২০০৯ বিশ্বকাপে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তার নৈপূণ্যে পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিতেছে।
৯৮টি উইকেট নিয়ে আফ্রিদি আছেন এই তালিকার চার নম্বরে। ইকোনমি রেট ৬ দশমিক ৬৩, গড় ২৪ দশমিক ৪৪।
রশিদ খান : বোলারদের তালিকায় সবচেয়ে ভালো গড় রশিদ খানের, ১২ গড়ে ৫১ ম্যাচে ৯৫টি উইকেট নিয়েছেন আফগানিস্তানের এই লেগস্পিনার। বলা হয়ে থাকে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কার্যকরী বোলারদের একজন রশিদ খান।
আফগানিস্তানের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন তিনি।
খুব অল্প বয়সে সফলতা লাভ করা এই ক্রিকেটার বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে ডাক পান। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।