নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অন্যতম পরাশক্তি বলা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও ডোয়াইন ব্রাভো-ক্রিস গেইলরাই। এবারের বিশ্বকাপেও তারা এসেছিল ফেভারিট হয়েই। কিন্তু ক্যারিবিয়ানদের এমন পরিণতি হতে পারে কল্পনাতেও কি ভেবেছিল কেউ! প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাত্তাই পায়নি, গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে আট উইকেটে হেরে ছাড়তে হয়েছে মাঠ। টানা দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার একদম নীচে অবস্থান করছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সেখান থেকে ফিরতে পারবে তো ক্যারিবিয়ানরা!
গতকাল দুবাইয়ে ম্যাচ শুরুর আগে থেকে আলোচোনায় কুইন্টন ডি কক। ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হলেও পরে জানা যায় ‘ব্ল্যাক লাইভস্ ম্যাটার’ আন্দোলনের সমর্থনে হাঁটু গেড়ে বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েই খেলছেন না এই ওপেনার। ডি কককে ছাড়া আফ্রিকার অবশ্য জয় পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেছে ৮ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখেই।
ইনিংসের শুরুতে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা ধাক্কা খেলেছিল বাভুমার (২) উইকেট হারিয়ে। প্রথম ওভারেই আন্দ্রে রাসেলের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউটে কাটা পড়েন দক্ষিন আফ্রিকান অধিনায়ক। দ্বিতীয় উইকেটে ফন ডার ডুসেনকে নিয়ে ৫০ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথ দেখান রিজা হেন্ডরিকস। ৩০ বলে ৩৯ রান করা হেন্ডরিকস ক্যাচ দিয়ে ফিরলেও কক্ষপথে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এইডেন মার্করাম আর ডুসেন দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। মার্করাম করেন ২৬ বলে ৫১ আর ডুসেন ৫১ বলে ৪৩।
এর আগে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই অস্বস্তিতে পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ও এভিন লুইস। অনিয়মিত বোলার মার্কারামের অফ স্পিন খেলতেই নাস্তানাবুদ হচ্ছিলেন না দু’জন। প্রথম তিন ওভারে আসে মাত্র ৬ রান।
তৃতীয় ওভার থেকেই হাত খুলে মারতে শুরু করেন লুইস। রাবাদার করা ওই ওভারে এক চার ও ছক্কায় ১২ রান তোলেন লুইস। আগের ওভারে মেডেন পাওয়া মার্কারামকে পঞ্চম ওভারে হিসাব বুঝিয়ে দেন লুইস। দুই ছক্কা ও এক চারে তোলেন ১৮ রান। লুইস একের পর এক বল মাঠের বাইরে উড়িয়ে ফেললেও অন্য প্রান্তে আশ্চর্য নীরব ছিলেন সিমন্স। ৩২ বলে লুইসের যখন ফিফটি হয়ে যায় তখনো ২৭ বলে ১২ রান সিমন্সের। ১১ তম ওভারের তৃতীয় বলে মহারাজের বলে রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে লুইস (৫৬) ফিরতে আবারও চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই চাপ কমাতে নিকোলাস পুরান এসেই ঝড় তুলতে চাইলেন। কিন্তু দুই চারেই শেষ সেই ঝড়।
পরের ওভারে আবার আঘাত দক্ষিণ আফ্রিকার। ধুঁকতে থাকা সিমন্সের ম্যারাথন ইনিংস শেষ হয় রাবাদার বলে লেগ স্ট্যাম্পের বেল উড়ে। ৩৫ বলে মাত্র ১৬ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্সের ভাতিজা সিমন্স! সিমন্সের বাড়িয়ে দেওয়া সেই চাপ থাকল শেষ পর্যন্ত। গেইল থেকে হেটমায়ার, পোলার্ড সবাই আউট হয়েছেন মেরে খেলার তাড়ায়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করে পোলার্ডের দল। যা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ইংল্যান্ডের কাছে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা উইন্ডিজ গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও হারের পর সুপার টুয়েলভেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের শঙ্কায় পোলার্ডের দল। শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে ক্যারিবীয়রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।