Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুসলিম হওয়ায় শিশুকে পেটালো সহপাঠীরা

প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম পরিচয়ের কারণে সাত বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক শিশুকে স্কুলবাসে মারধর করেছে সহপাঠীরা। শিশুটির নাম আবদুল উসমানী। সে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনার ক্যারি এলাকার ‘ওয়েথারস্টোন প্রাথমিক স্কুলে’ পড়াশোনা করত। গত ৭ অক্টোবর আবুল উসমানীকে মারধর করা হয়। এরপর তার বাবা সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ড. জিশানুল হাসান উসমানী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যান। জিশানুল হাসান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিশু উসমানীর আক্রান্ত হওয়ার সচিত্র বিবরণ তুলে ধরেছেন। উসমানীকে মারধরের বর্ণনা দিয়ে জিশানুল হাসান বলেন, প্রথমে ছয় বা সাত বছরের একটি শিশু উসমানীকে নাম ধরে ডাকে। এরপরই একটি শিশু তার মুখে ঘুষি মারে। অপর দুই শিশু তার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে, তাকে লাথি মারতে থাকে। এ সময় আরেকজন শিশু পেছন থেকে তার হাত ধরে রাখে। উসমানীর বাবা জানান, স্কুল থেকে বাড়িতে আসার পুরো পথেই বাসের মধ্যে তারা উসমানীকে পেটায়। তাদের হামলার কারণে সে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। মারধরের কারণে তার একটি হাত মচকে গেছে। মুসলিম পরিচয়ের কারণে শিশুকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাজফিড নিউজ ৩৮ বছর বয়সী জিশানুল হাসানের একটি সাক্ষাৎকার নেয়। এতে বলা হয়েছে, এ সফটওয়্যার প্রকৌশলী ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি সিলিকন ভ্যালির একটি ডাটা সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তিনি জানান, ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে শিশু সন্তান উসমানীর মারধরের ঘটনা ছাড়াও গত কয়েক মাস ধরে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে হয়রানির শিকার হচ্ছিল তার পরিবার। এমনকি তার এক ছেলেকে ‘সন্ত্রাসী’ সম্বোধন করেছে তারা। উসমানীর মারধর এবং মুসলিম হিসেবে দীর্ঘসময় ধরে বৈষম্যের শিকার হওয়ার কারণে তিন ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তানে ফিরে গেছেন বলেও জানান। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুসলিম হওয়ায় শিশুকে পেটালো সহপাঠীরা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ