নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১৪৪ রানের লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে ছুটেছে তাতে সহজ জয়ের ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে ছিল তারা। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম জয় পেল প্রোটিয়ারা।
প্রথম ওভারেই টেম্বা বাভুমা রান আউট হন মাত্র ২ রান করে। ৪ রানে অধিনায়ককে হারালেও সেই ধাক্কা অনুভব করতে দেননি রিজা হেনড্রিক্স ও রাসি ফন ডার ডুসেন। ৩০ বলে ৩৯ রান করে হেনড্রিক্স যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন তখন দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬১ রান। ৫৭ রানের এই জুটি ভাঙার পর মাঠে নেমেই ঝড় তোলেন এইডেন মার্করাম। নিজের মোকাবিলা করা ষষ্ঠ ও দশম বলে একটি করে ছক্কা মেরে স্বস্তি ফেরান তিনি।
মার্করামের সঙ্গ পেয়ে ফন ডার ডুসেনও আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন। তাতে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুরুর ধাক্কা সামলে প্রোটিয়া আধিপত্য
শুরুতেই বাভুমাকে রান আউটে ফিরিয়ে দিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে হেনরিক্স ও ডুসেনের দৃঢ়তায় ম্যাচে ভালোমতোই ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনরিক্স ৩৭ ও ডুসেন ১৪ রানে অপরাজিত আছেন। দলীয় সংগ্রহ ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৫৫ রান।
লুইস ঝড় ছাড়া বিবর্ণ উইন্ডিজ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করেছে তারা।
লেন্ডন সিমন্সের ব্যাট যেন উঠলই না। একের পর এক ডট বল খেললেন। যখন আউট হলেন, তখন তার নামের পাশে ১৬ রান, ৩৫ বল খেলে। প্রথম তিন ওভারে ৬ রান তোলার ক্ষতি অবশ্য পুষিয়ে দেন এভিন লুইস। তার তিনটি করে চার ও ছয়ে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৬ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিমন্স ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু তিনি আউট হলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্রিস গেইল চার নম্বরে নেমে একটি ছক্কা মেরে ১২ বলে ১২ রানে আউট হন। নিকোলাস পুরান শুরুতে টানা দুটি চার মেরে ঝড়ের ইঙ্গিত দিলেও থামেন ৭ বলে ১২ রান করে। আন্দ্রে রাসেল ৪ বল খেলে ৫ রান করে আনরিখ নর্টিয়ের শিকার। শিমরন হেটমায়ার দুটি বল খেলে ১ রান করে রান আউট। ইনিংস শেষ হওয়ার চার বল বাকি থাকতে অধিনায়ক কিয়েরন পোলার্ড বিদায় নেন ২০ বলে ২৬ রান করে। পরের বলেই হেইডেন ওয়ালশকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। ডোয়াইন ব্রাভো হ্যাটট্রিক বলে চার মেরে তাকে আশাহত করেন। দলের স্কোরবোর্ডে আর দুটি রান যোগ হয়।
প্রিটোরিয়াস সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি পান কেশব মহারাজ।
১৪ ওভারে উইন্ডিজ ৯৩/৩
ম্যাচের ১৪ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান তুলেছে ক্যারিবীয়ানরা। কাগিসো রাবাদার বলে ৩৫ বলে ১৬ রান তুলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সিমন্স। লুইস ৩৫ বলে ৫৬ রান করে মহারাজের বলে ক্যাচ আউটে ফেরেন। এছাড়া পুরান ৭ বলে ১২ রানের ছোট ঝড় তুলে ফিরে যান। ক্রিস গেইল ২ রানে ও পোলার্ড ৩ রানে অপরাজিত আছেন।
দলীয় সংগ্রহ ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৩ রান।
পাওয়ার প্লেতে হঠাৎ লুইস ঝড়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। টস হেরে ফিল্ডিং নিয়েছে প্রোটিয়ারা।
দুবাইয়ে প্রথম বলেই রান আউট হতে বসেন লেন্ডন সিমন্স। সিঙ্গেল নিতে গিয়েও ফিরে আসেন উইন্ডিজ ওপেনার। বোলার এইডেন মার্করামের থ্রো স্টাম্প মিস করে। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান আসে।
দ্বিতীয় ওভারে কাগিসো রাবাদার গতিতে সুবিধা করতে পারেননি সিমন্স ও ওপেনার এভিন লুইস। মাত্র ২ রান। পরের ওভারে মার্করাম মেডেন দেন।
প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৬ রান! এই ক্ষতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ পুষিয়ে নেয় চতুর্থ ওভারে। রাবাদাকে চতুর্থ ও পঞ্চম বলে একটি করে চার ও ছয় মারেন লুইস। ১২ রান যোগ হয় স্কোরবোর্ডে।
পরের ওভারে লুইসের তাণ্ডবের শিকার মার্করাম। টানা দুটি ছয়ের পর চার মারেন লুইস, যোগ হয় ১৮ রান। ষষ্ঠ ওভারে আনরিখ নর্টিয়েকে একটি চারে মারেন উইন্ডিজ ওপেনার। অবশ্য পঞ্চম বলে উইকেটকিপার হেনরিখ ক্লাসেন ক্যাচ ফেলে দিলে জীবন পান সিমন্স। ৬ ওভারে স্কোর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৩ রান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।