মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোনও হ্রদ কিংবা নদী নেই। পানির খুবই অভাব। তা সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দ্বীপ এটি। হাজার হাজার মানুষ বসবাস করেন এই দ্বীপে। বছরের পর বছর ধরে কীভাবে পানি সঞ্চয় করে জীবন নির্বাহ করে চলেছেন এই দ্বীপের মানুষ, তা সত্যিই একটি বিস্ময়।
আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে জেগে থাকা দ্বীপের নাম বারমুডা। বিস্তৃতি মাত্র ৫৩ বর্গ কিলোমিটার। ২০২০ সালের বিশ্ব ব্যাংকের সমীক্ষা অনুযায়ী জনসংখ্যা ৬৪ হাজার। বারমুডায় নতুন-পুরনো মিলিয়ে ঘর-বাড়ির স্থাপত্য দেখতে একইরকম। সাদা রঙের চুনাপাথরের ছাদ। চারদিকে ঢাল থাকা সেই ছাদে খাঁজকাটা নক্সা করা। যাতে সহজেই পানি গড়িয়ে পড়তে পারে।
পানির সমস্যা দূর করার জন্য স্থানীয়রা এ ভাবেই বৃষ্টির পানি সঞ্চয় করে রাখেন। সারা বছর এই সঞ্চিত বৃষ্টির পানি পরিশ্রুত করেই পানির সঙ্কট দূর করেন তারা। পাশাপাশি পানির অপচয় না করারও কথা দিনভর মেনে চলেন।
পশ্চিমি দুনিয়ায় অন্যতম পানি সচেতন হিসাবেই চিহ্নিত বারমুডার মানুষ। সেই ১৭ শতক থেকেই ঘর-বাড়িতেও পানির অপচয় রোধের চিহ্ন তাই স্পষ্ট। প্রতিটি বাড়ির নক্সা কেমন হবে তা সে দ্বীপের আইনেও উল্লেখ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, বাড়ির ছাদ এমন ভাবেই নির্মাণ করতে হবে যাতে তার মাধ্যমে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভস্থ জলাধারে সঞ্চিত হয়।
পানি সঞ্চয়ের জন্য প্রতিটি ঘরের নীচেই ১০০ গ্যালনের জলাধার থাকা বাধ্যতামূলক। দৈনন্দিন জীবনেও বারমুডার প্রতিটি মানুষ পানির অপচয় রোধে সদা সতর্ক। যতটা সম্ভব পানির খরচও কম করে থাকেন তারা। শিশুদেরও ছোট থেকেই এ বিষয়ে সচেতন করা হয়।
সরকারি তরফে ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট গড়ে তোলা হলেও বারমুডার বেশিরভাগ মানুষ আজও বৃষ্টির পানি ধরে রেখে তা ব্যবহারের পক্ষপাতী। জীবন বাঁচাতে পানির জন্য যে লড়াই তারা চালাচ্ছেন, তাদের কাছে সরকারি পানি নেওয়ার অর্থ সেই লড়াইয়ে হার মানা। জীবনযুদ্ধে হার মানতে নারাজ এই দ্বীপের মানুষ। সূত্র : ডেইলি সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।