পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নিজেই কেন দুর্নীতির (ঘুষ দাবি) চেষ্টা করেছেন- সেই ব্যাখ্যা দিতে সশরীরে হাজির হতে দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ তাকে তলব করেন। তলবকৃত কর্মকর্তা হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন। আগামী ৭ নভেম্বর তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দেয়া হয়েছে। এক রিট পিটিশনের শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মো. আসিফ হাসান। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক শুনানিতে অংশ নেন।
সরকারি এই আইন কর্মকর্তা জানান, সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এক দম্পতির বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দুদক। কিন্তু তদন্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন। এ পরিপ্রক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন চেয়ে দুদকে বারবার আবেদন জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি ওই দম্পতি। এ প্রেক্ষাপটে ফলে দুদকের ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন এই দম্পতি।
এদিকে দুদক সূত্র জানায়, সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ২০১৯ সালের ৩ মার্চ মো. আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার ও তার স্ত্রী মাহিনুর বেগমকে নোটিশ দেয় দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাদের নোটিশ দেন। কিন্তু নোটিশে বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন। এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে ২৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৯০ লাখ ১২ হাজার ৭৯৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আবদুল কুদ্দুস হাওলাদার সাব-রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরি করার সুবাদে দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ অর্থ দিয়ে তার নিজ নামে সম্পদ অর্জন করেন। এই সম্পদ নিজ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। আব্দুল কুদ্দুস সর্বশেষ ঢাকা সদরের সাব রেজিস্ট্রার এবং বর্তমানে পিরোজপুর জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। মামলাটির তদন্ত চলা অবস্থায় তিনি তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন না- মর্মে কর্মকর্তা পরিবর্তনের আবেদন দেন। একাধিকবার আবেদন দিলেও কমিশন আবেদন মঞ্জুর করেনি। এ প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা ঘুষ দাবি করেছেন- মর্মে অভিযোগ এনে রিট করেন আব্দুল কুদ্দুস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।