বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : খুলনায় কোন সভা-সম্মেলন হয়নি বিএনপি’র ভ্যানগার্ড খ্যাত ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জন্যে। জানেন না স্থানীয় বিএনপি’র শীর্ষ নেতারাও। অভিভাবক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা কমিটিতে স্থান পাওয়া অনেকেই চেনেন না। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় ও জুনিয়রদের দিয়ে খুলনা মহানগর, জেলা, খুলনা মেডিকেল কলেজ ও খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এসব কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে ত্যাগী ও পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
এদিকে, ঘোষিত কমিটিতে খুলনা মহানগর ছাত্রদলে শরিফুল ইসলাম বাবুকে সভাপতি ও হেলাল আহম্মেদ সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আর জেলা ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রীকে সভাপতি ও গোলাম মোস্তফা তুহিনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। নগর ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পাওয়া অন্যরা হলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক হাবিবুল্লাহ, সহ-সভাপতি আরমান হাসান রুপম, হাবিবুর রহমান কাজল, ইফতেখারুজ্জামান নবীন, তসলিম রেজা তানিম, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, সৈয়দ মাইনুল ইসলাম, অজয় কুমার সিংহ, আব্দুর গফুর, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মিজানুর রহমান বাবু, মেজবাউল হক শুভ, আব্দুল্লাহ কিমিয়া সাদাত, তৌহিদ ফেরদৌস, মাহমুদুল হক টিটু, আমিন আহম্মেদ ও রাজীব রায়হান। যুগ্ম-সম্পাদক এম রায়হান ইসলাম জুম্মা, আশিকুর রহমান অনিক, ইশতিয়াক আহমেদ ইশতি, খান রাকিব হাসান, খোরশেদ আলম রানা, আরিফুর রহমান আরিফ, সিফাত আহমেদ রিকি, মফিজুল ইসলাম মফিজ, মোল্লা সোহেল, ওবায়দুর রহমান চয়ন, শরিফুল ইসলাম শরীফ, সিরাজুল হক সানি, তাজিম বিশ্বাস, খান সাইফুল ইসলাম, শাহরিয়ার বাবু, আল মামুন ও রায়হান বিন কামাল। সাংগঠনিক সম্পাদক রশিউর রহমান রুবেল, প্রচার সম্পাদক সাজ্জাত হোসেন জিতু, দপ্তর সম্পাদক মুসফিকুল হাসান অভি ও সহ-দপ্তর সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
অপরদিকে, খুলনা জেলা ছাত্রদলের অন্য নেতৃবৃন্দ হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলকার নাইন, সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বেলাল, মোল্লা মনিবুর রহমান নয়ন, মহিদুল ইসলাম সোহাগ, মফিজুল ইসলাম, মাছুম বিল্লাহ, রিয়াসাত আলী ও মুকন্দ মোহন পান্ত। যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ সাগর সিকদার, ফারুক হোসেন, মুক্তারুজ্জামান সবুর, হেলাল উদ্দীন, আজিজুর রহমান, লাবু ইসলাম, খান তাজনুর রহমান ও হাদি উজ্জামান সোহাগ। সহ-সাধারন সম্পাদক আল হাসান সুজা, আশিকুজ্জামান আশিক, পারভেজ রেজা তানভীর, মনিরুজ্জামান মনি, শেখ আল আমিন হোসেন ও শাহিন আলম। সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী শহীদুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজালাল, মেজবাউল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন ও লোটাস। প্রচার সম্পাদক মোঃ আবু হানিফ ও দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর।
খুলন মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মিনহাজুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম সাহেদ হোসেন, সহ-সভাপতি শামসুল আরেফিন; সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বি প্রিন্স, যুগ্ম-সম্পাদক রাশেদুজ্জামান ছোটন ও তৌহিদুল হাসান তুষার; সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর বিন আহসান।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এ.বি সিদ্দিক আমিনকে আহŸায়ক ও তাসফিক আহমেদ তন্ময়কে সিনিয়র যুগ্ম-আহব্বায়ক করে ৭ সদস্যের আহŸায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন যুগ্ম-আহŸায়ক মহসিন আলী, হাসান ইকবাল ও মাকসুদুল মোমিন জিহান; নির্বাহী সদস্য রেজাউর রহমান ও রাসেল কবির।
এসব কমিটি সম্পর্কে কোন মন্তব্যই করতে রাজি নন খুলনা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতারাও চরম হতাশা ব্যক্ত করছেন। গতকাল শুক্রবার কয়েকজন নেতাকে ফোন করলেও তারা প্রত্যেকেই প্রায় অভিন্ন ভাষায় বলছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রীয় ও নবীনদের দিয়ে খুলনায় ছাত্রদলের কমিটি চাপিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতারা। এদের দিয়ে আগামীতে আন্দোলন-সংগ্রামে সফলতার আশা ক্ষীণ বলে মন্তব্য তাদের।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বাবু তার ফেসবুক লিখেছেন, ‘ছিঃ ছাত্রদল ছিঃ আজ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করলাম। তোকে তোর নবজন্মকে---লানত আর অভিশম্পাত নির্বাহী দায়িত্বে থাকা ২ কেন্দ্রীয় হিজড়াকে। মহাদেবাদেবের প্রতি এটুকুই বলি.....হয় আল্লাহ্ আপনাকে হেদায়েত দেন, নয়তো ধ্বংস করে দেন। আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন যেন আন্দোলন সংগ্রামে জীবন বাজি রাখা প্রতিটি কর্মী›ও চোখের পানি কবুল করেন (আমিন)।’
খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘খুলনা মহানগর ও জেলা ছাত্রদল এর ইতিহাস এ সব থেকে বড় সার্কাস কমিটি উপহার দিল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল দুই হিজড়া রাজিব আর আকরাম। টাকার কাছে বিক্রি করে ছাত্রদলটাকে শেষ করে দিলো হিজড়া রাজিব ও আকরাম। সার্কাস কমিটি মানি না মানবো না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।