নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আইসিসি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের লড়াইয়ে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। বিশ্বকাপ আসরে কখনোই ভারতের বিপক্ষে জিততে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এবার সেই বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে চায় বাবর আজমের দল। আর ভারতের লক্ষ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা।
এমন লক্ষ্য নিয়ে আজ রোববার চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-২তে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারত ও পাকিস্তান। এ ম্যাচ দিয়ে সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করছে দু’দল। দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। সবগুলোতেই জয়ের হাসি হেসেছে ভারত। বিশ্বকাপের আসরে সাতবার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পাঁচবার মুখোমুখির সবগুলোতেই জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
তবে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে টানা দশ জয়ের রেকর্ড নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে নামছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার মুদাসসার নজর মনে করেন, বিরাট কোহলির ভারতকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য সামর্থ্য পাকিস্তান দলের রয়েছে।
এএফপিকে মুদাসসর বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে দল সম্পর্কে আমার আশঙ্কা ছিল, কিন্তু কিছু পরিবর্তন আনায় পাকিস্তান এখন একটি শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ দল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের খুব ভালো সুযোগ রয়েছে কারণ তাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। যারা ভারতের বিপক্ষে অনেক ভালো খেলেছে। অন্যদিকে ভারত ফেভারিট হিসাবে শুরু করবে এবং তারা সব বিভাগেই পরিপূর্ণ দল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যেকোন দল যেকোন দিন তাদের হারাতে পারে।’
এ বছর এই ফরম্যাটে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। দারুন ফর্মে থাকা বাবরের বিশ্বাস, এবার বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয়ের মুখ দেখবে পাকিস্তান।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমরা অনেক বেশি ম্যাচ খেলেছি। এখানকার কন্ডিশন আমাদের জন্য উপযুক্ত এবং আমরা জানি, কিভাবে এখানে খেলতে হবে। সকল বিভাগে আমাদের সবকিছু স্বাভাবিক রাখা দরকার।’
২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলা থেকে সড়ে আসে ভারত। শুধুমাত্র আইসিসি বা এশিয়া কাপে মুখোমুখি হতে দেখা যায় দু’দলকে। ২০১৩ সালে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষীক সিরিজে খেলেছিলো ভারত ও পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে হওয়া উন্মাদনার চাপ নিতে নারাজ ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাই তিনি বলেন, ‘অন্য ম্যাচগুলোর মতই এটি একটি ম্যাচ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সব সময় ক্রিকেটের আরেকটি ম্যাচ হিসেবেই দেখেছি। আমি জানি এই খেলাকে ঘিরে অনেক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, তাই দ্রুত সব টিকিট বিক্রি হয়েছে এবং টিকিটের চাহিদাও প্রচুর।’
ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘হ্যাঁ, আপনি বলতে পারেন পরিবেশ ভিন্ন। ভক্তদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অবশ্যই খুবই আকর্ষনীয় ম্যাচ। খেলোয়াড়দের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমরা যতটা সম্ভব পেশাদার থাকি।’
ভারতের দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি মেন্টর হিসাবে ভারতের বিশ্বকাপ দলের সাথে আছেন। কোহলি জানান, ড্রেসিংরুমে আইকন ধোনির উপস্থিতি তাদের মনোবল আরও ‘চাঙ্গা’ করবে।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন ধোনি। ওই আসরে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারিয়েছিলো ভারত। এমনকি ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপাও জিতেছিলো ধোনির ভারত।
ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সব মিলিয়ে আটবার ভারতের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। এরমধ্যে সাতবার হারে পাকিস্তান, জয় মাত্র একটি। সেই একটি জয় ২০১২ সালে ব্যাঙ্গালুরুতে, দুই ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। সিরিজটি শেষমেষ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিলো।
বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি জয়ের স্বাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে বড় স্কোর করেছেন লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা।
বাবরের পাশাপাশি দুই অভিজ্ঞ সিনিয়র ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের দিকে তাকিয়ে থাকবে পাকিস্তান। এছাড়াও টপ-অর্ডারে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। বোলিংয়ে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।