Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জলবায়ু সম্মেলনে সামনে থেকে বাংলাদেশকে নেতৃত্বের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ৭:১৬ পিএম

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি কার্যকর করতে ‘প্যারিস রুল-বুক’ চূড়ান্তকরণের দাবি করছে পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা। তারা আসন্ন গ্লাসগো সম্মেলনে কোপ-২৬-এ (জলবায়ু সমঝোতা সম্মেলন) বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে গুরত্বারোপ করেছে।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) ডেইলি স্টার সেন্টারের আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে ‘সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) আয়োজিত সভায় এ গুরাত্বরোপের কথা তুলে ধরা হয়। ইউএনসিসিসি’র ২৬তম জলবায়ু সমঝোতা সম্মেলন (কোপ-২৬) উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রত্যাশা এবং প্রস্তাবনা’ শীর্ষক বৈঠকে জলবায়ু নিয়ে কাজ করা কোস্ট ফাউন্ডেশন, সিডিপি, ক্লিন, আরআইবি, এসডিএস-সহ কয়েকটি বেসরকারী উন্নয়ন সহযোগী সংগঠন এতে অংশ নেয়।

এসময় বক্তারা বলেন, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে কোপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হওয়ার প্রেক্ষিতে এবারের সম্মেলনটি গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এবার প্যারিস এ্যাগ্রিমেন্টের পূর্ণতা দান করা সব থেকে জরুরি। আমরা আশা করছি ২৬তম জলবায়ু সমঝোতা সম্মেলন প্যারিস রুল-বুককে চূড়ান্ত করবে। এটি চুড়ান্ত করণের মধ্যদিয়েই মূলত প্যারিস এগ্রিমেন্ট অপারেশনাল রুপ পাবে।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে দাবি জানিয়ে আসছি, শিল্পোন্নত দেশসমূহকে ২০৩০ সালের মধ্যে এবং উন্নয়নশীল বিশ্বকে ২০৪০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। এবারের কোপ-২৬ এর কাছে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন শূন্যতে নামিয়ে আনতে শক্ত পদক্ষেপ আশা করি। তারা বলেন, ক্ষতি এবং ক্ষতিপূরণের বিষয়ে প্যারিস এগ্রিমেমেন্টের ‘আর্টিক্যাল-৮’ এ বলা হয়েছে। কিন্তু এর ফাইনান্সিং মেকানিজম এখনো তৈরি হয়নি। তাই কোপ-২৬ এ একটি ফাইনান্সিং মেকানিজম চূড়ান্ত করা হবে বলে সবাই আশ করেন। এ জন্য জলবায়ু সম্মেলনে সামনে থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিতে হবে।

বৈঠকে সিপিআরডি’র প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন ও বন মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ধরিত্রী সরকার, সিডিপি’র নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গির হাসান মাসুম, এসডিএস এর নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া বেগম, কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ আমিনুল হক। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সংগঠনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।

এদিকে শনিবার চট্টগ্রামে ‘বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিইটউট’ (বিএফআরআই) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রয়োজন। টেকসই এবং পরিবেশবন্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বন বিষয়ক গবেষণার বিকল্প নেই। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ বন গবেষণা ইন্সটিটিউট গবেষণা করছে। যা পরিবেশ ও জলবায়ু উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ