পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ নামের একটি মাদরাসার মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও দুস্কৃতিকারীদের হামলায় ৭ জন রোহিঙ্গা নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার ভোরে উখিয়ার ১৮ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার-৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি শিহাব কায়সার খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘটনার খবর জানতে পেয়ে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। নিহতরা হলেন, উখিয়ার বালুখালী-২ নম্বর ক্যাম্পের মোহাম্মদ ইদ্রিস, বালুখালী-১ নম্বর ক্যাম্পের ইব্রাহীম হোসেন, বালুখালী-১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের আজিজুল হক ও মোহাম্মদ আমিন, রোহিঙ্গা শিবিরের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২ এর নুর আলম ওরফে হালিম, মাদরাসাশিক্ষক ও ক্যাম্প-২৪ এর হামিদুল্লাহ ও মাদরাসাছাত্র ও ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ-৫২-এর নুর কায়সার। এরমধ্যে ৩ জন হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের ২ জনকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। এর আগে, ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের এলাকায় রাত ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ব্লকরেইড পরিচালনা করে। সম্প্রতি কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং ক্যাম্পের ভেতরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকেই মূলত বেশ কিছুদিন ধরেই কুতুপালংসহ আশপাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো অস্তিরতা দেখা দেয়। এই সূত্র ধরে একদিন আগেই ৭ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়।
একাধিক নির্ভযোগ্য সূত্র ও এপিবিএন জানায়, গতকাল শুক্রবার ভোরে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামীয়া মাদরাসার মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায় ৮/১০ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ। চারদিক থেকে গুলিবর্ষণ হওয়ায় কেউ মসজিদ থেকে বের হতে পারেনি। এতে ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে এপিবিএন।
১৮ নং ক্যাম্পের মাঝি আব্দুল মতলব বলেন, ঘুম থেকে ওঠে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম। যেতে যেতে কানে আসছিল গুলির আওয়াজ। একপর্যায়ে সবাই বসতঘর থেকে বের হয়ে ছুটাছুটি করছিল। আমিও পেছনের দিকে চলে আসি। পরে গিয়ে দেখলাম সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন অনেকে। সবাই মূলত নামাজরত ছিলেন। কে বা কারা হামলা করেছে তাদের চিনতে পারেনি কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ এপিবিএনের ময়নারঘোনা ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মাদরাসা ও মসজিদের চারদিকের অংশে শুধু গুলির চিহ্ন। আর দা দিয়ে কুপিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে টিনের শেট। আমরা ঘটনাস্থলে অনেক মুসল্লির কর্তনকৃত আঙ্গুলের অংশও পেয়েছি। কক্সবাজার ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) বলেন, কী কারণে এ হামলা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছি। আহতদের এমএসএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, অতর্কিত হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। আমরা তাদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি। লাশগুলো পুলিশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।