পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুসে সর্বস্তরের মুসল্লি ও সুন্নি জনতার ঢল নামে। মুখে আল্লাহু আকবর ধ্বনি, হাতে হাতে কালিমার বর্ণিল পতাকা নিয়ে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ শামিল হন বর্ণাঢ্য র্যালিতে। নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর, নারায়ে রেসালত, ইয়া রাসূল আল্লাহ ধ্বনিতে মুখরিত হয় নগরীর আকাশ-বাতাস।
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহর (মজিআ) নেতৃত্বে বুধবার বর্ণাঢ্য এ জুলুস নগরীর মুরাদপুর আলমগীর খানকাহ থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামেয়া সংলগ্ন জুলুস মাঠে শেষ হয়। সেখানে মাহফিলে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ ট্রাস্টের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
মাহফিলে লাখো জনতাকে নিয়ে দেশের উন্নতি, সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ। ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল আনোয়ার হোসেন জুলুস শুরুর আগে সাংবাদিকদের বলেন, আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রহ.) ১৯৭৪ সালে এ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুসের সূচনা করেন। সেই থেকে আনজুমান ট্রাস্ট জুলুসের আয়োজন করে আসছে। জুলুসে মহানগরী ছাড়াও বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে নবীপ্রেমিক লাখো মানুষ শরিক হন। এদিকে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মূঈনীয়া কামিল মাদরাসা ও আনজুমানে কাদেরিয়া চিশতীয়া আজিজিয়ার যৌথ ব্যবস্থাপনায় বিশাল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। জশনে জুলুসে সভাপতিত্ব ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ছিপাতলী কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আল-কাদেরী।
মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বায়তুশ শরফে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভীর সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ। এতে রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, আনজুমনে ইত্তেহাদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, প্রিন্সিপাল ড. আল্লামা সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আবু নোমান, মজলিসুল উলামার মহাসচিব মুফতি মাওলানা মামুনুর রশিদ নুরী বক্তব্য রাখেন। বোয়ালখালীর আহলা দরবারে মিলাদুন্নবী মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।