Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিংয়ে ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’

প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা ‘সাতক্ষীরা’। পূর্বে খুলনা, উত্তরে যশোর, পশ্চিমে ভারতের ২৪ পরগণা ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সুন্দরবনের কোলে অবস্থিত এ জেলাটিতে রয়েছে পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনা। বিদ্যমান সংকট দূর করে পর্যটনবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে দেশের পর্যটন শিল্পে সাতক্ষীরা উঠে আসতে পারে শীর্ষে। আর ঠিক এ লক্ষ্যে সম্প্রতি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিং হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’ নামে ইতিহাস-ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানের একটি সচিত্র সংকলন প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’র মোড়ক উন্মোচন করেন। জেলার নামকরণের ইতিহাস থেকে শুরু করে ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’য় আরও রয়েছে, জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকারী ৭৭টি ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং প্রসিদ্ধ পণ্য ও সুনির্দিষ্ট ১১১টি দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা। রয়েছে উপজেলাওয়ারি দর্শনীয় স্থানের ছবিও। ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’য় যেমন স্থান পেয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের ব্যাখ্যা, তেমনি ছোট হলেও বাদ পড়েনি শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন নির্মিত বাচ্চাদের খেলার পার্ক ‘শিশু স্বর্গ’। মাঝে রয়েছে সুন্দরবনের কোলে মুন্সীগঞ্জে নির্মিত আকাশলীনা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার, মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, কলাগাছি ইকো-পর্যটন কেন্দ্র, দোবেকি ইকো-পর্যটন কেন্দ্র, কারাম মুরা ম্যানগ্রোভ ভিলেজ, কারাম মুরা পাখি পর্যটন কেন্দ্র, উরালমন আদিবাসী গ্রাম ও নৌকা ভ্রমণ সাইট, শ্যামনগর এগ্রো টেকনোলজি পার্কসহ অন্তত দেড় শতাধিক দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা। আবার জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে বাংলার বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের যশোহর রাজ্যের রাজধানী সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাটের মাটির গড় থেকে শুরু করে জাহাজঘাটা নৌ দুর্গ, সাতক্ষীরার ব্র্যান্ড চিংড়ি থেকে আম- সব কিছুই গুরুত্বের সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’য়। ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’র প্রকাশনা নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, সাতক্ষীরা জেলাকে পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিং হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত করার লক্ষ্যে এ জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থানের সচিত্র সংকলন ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’ প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই ক্ষুদ্র প্রয়াস পর্যটন শিল্প বিকাশে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন তিনি। এদিকে, জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাতক্ষীরায় পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কখনই উদ্যোগ নেয়া হয়নি। রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি সড়কপথে শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জে নেমে বাসস্ট্যান্ড থেকেই যে সুন্দরবন দেখা যায়- এই বিষয়টিও প্রচারের অভাবে কেউ জানে না। এছাড়া রাস্তা-ঘাট, আবাসন ব্যবস্থাসহ পর্যটন খাতে বিদ্যমান সংকট দূরীকরণে কেউ কখনই ভাবেনি। তবে, দেরিতে হলেও পর্যটকদের কাছে সাতক্ষীরাকে তুলে ধরতে বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরার প্রকাশনা বিদ্যমান সংকট দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিংয়ে ‘বৈচিত্র্যময় সাতক্ষীরা’
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ