বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ

সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহড়ী ঢল ও ভারী বষর্নের কারনে গতকাল ২০ অক্টোবর বুধবার তিস্তা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭০ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় তা কমে বিপদ সীমার ৪০ সেঃ মিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টি আর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরেছে।
গতকাল বুধবার(২০ অক্টোবর) সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ভেঙে গেছে তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস বাঁধ সড়কটি। এতে রংপুর-বড়খাতা - নীলফামারীর সাথে লালমনিরহাটের সড়ক পেেথর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গতকাল ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাটের ৫ টি উপজেলার তিস্তার চর এলাকায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ধান ও ভুট্টাক্ষেত। পানির তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় পরিবারগুলো উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তীব্র পানির স্রোতে তিস্তাপারের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এদিকে,গতকাল বুধবার তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি,আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোর্বধন, ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ,কালমাটি,রাজপুর, গকুন্ডা ইউনিয়ন সহ তিস্তা নদীর তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৫শত পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়াও উঠতি আমন ধান, রোপা আমন, বেগুন মুলা, বাদাম,শাকসবজি সহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকের এখন মাথায় হাত।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় গতকাল পানি বাড়লেও আজ বৃহস্পতিবার তিস্তার পানি কমে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যরাজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধির কারণে অনেক ঘরবাড়ি বিলীন এবং পানিবন্দি হয়ে পড়া পরিবারগুলোর খোঁজখবর সার্বক্ষণিক রাখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বানভাসী মানুষগুলোর জন্য ১শ’ ৭০ মেঃ টনঃ চাল ও নগদ ৮লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পানি না কমা পর্যন্ত বানভাসী মানুষদের সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।