পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719363885](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রংপুর, হাজীগঞ্জ, চৌমুহনী পুড়ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভানুর মতো শুধু দেখছেন। কারণ তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতা ধরে রাখা।
রংপুরের ঘটনা প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নাকি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন?
তাহলে রংপুর পুড়ছে, হাজীগঞ্জ পুড়ছে, নোয়াখালীতে আক্রমণ হচ্ছে আর শেখ হাসিনা ভানুর মতো শুধু দেখছেন।
তিনি বলেন, আমার বাড়ি আমি দেখবো না। ওনার দেশ, বাংলাদেশ ওনার জমিদারিতে পরিণত করেছেন। উনি না দেখলে কে দেখবেন? ওবায়দুল কাদের আবার ওনার সুরে বলেন আমি না দেখলে কে দেখবে?
বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একটা ভয়ঙ্কর মিথ্যার উপর দিয়ে তারা বসবাস করছে। অন্যকে বলছেন মিথ্যাবাদী। উনি যদি আসলেই নামাজ পড়তেন রাসুল (সা.) এর কয়েকটি বাণী যদি আয়ত্ত্ব করতেন হৃদয় দিয়ে তাহলে তিনি আজকে নিষ্ঠুর ফ্যাসিস্ট এর মত হতেন না।
তিনি আজকে জালেম সরকারের প্রধান শাসক হিসেবে আজকে পরিগণিত হতেন না।
এটাতো উনি ধারণ করেননি। উনি ধারণ করেছেন নির্বাচন আসলে বোরকা পরবেন, হাতে তসবিহ নিবেন, সবটাই ভন্ডামি।
তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের লোকেরা অনর্গল মিথ্যা কথা বলে, আবার তারাই বলছেন বিএনপি নাকি মিথ্যে কথা বলে। আবার আওয়ামী লীগের লোকেরা বলে শেখ হাসিনা নাকি তাহাজ্জুদের নামাজও পড়ে। কত বড় ভণ্ডামি
কুমিল্লার পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, কুমিল্লাবাসী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ও বলছে আমরা নিরাপত্তার জন্য কুমিল্লা প্রশাসনকে বলেছিলাম।
কিন্তু তারা যথাসময়ে সাড়া দেয়নি অনেক দেরি করে এসেছে, এ নিয়ে পত্রপত্রিকায়ও লেখালেখি হচ্ছে।
আর এখন একের পর এক বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাসূল (সা.) এর কাছে এক মা আসছেন তার মেয়েকে নিয়ে বললেন হুজুর আমার মেয়েটা খুব মিষ্টি খায় ওকে মিষ্টি খেতে বারণ করেন। রাসুল (সা.) বললেন সাতদিন পরে এসো। পরে বললেন তুমি মিষ্টি খেওনা।
মহিলা জানতে চাইলেন হুজুর সাতদিন পরে আসতে বললেন কেনো? রাসূল (সা.) বললেন আমি নিজেওতো মিষ্টি খাই নিজে যদি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে অপরজনকে কিভাবে তা বলব।
এই যে দৃষ্টান্তগুলো, আমাদের আর কিছুই দেখতে হবে না। আমরা যদি রসূল (সা.) কে আমাদের কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখি তাহলে কেউ বিপথগামী হবে না।
একজন সাচ্চা মানুষ হিসেবে একজন মহৎ মানুষ হিসেবে সে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।
রিজভী বলেন, আজকে গুম-খুনের রাজনীতিতে, আজকে মিথ্যাচারের রাজনীতিতে আমরা প্রত্যেকে যদি প্রতিবাদী হই আমার মনে হয় সরকার বেশি দিন টিকতে পারবে না।
আদর্শের কাছে, ন্যায়ের কাছে, ইনসাফের কাছে, সুশাসনের কাছে, নীতির কাছে কখনোই জুলুমকারীরা টিকে থাকতে পারে না। কখনোই পারবে না। আমার মনে হয় আজকে এই সরকার একটি গভীর নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, সয়াবিন তেল এক লাফে ৭ টাকা বৃদ্ধি হয়েছে।
১৫৩ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০টাকা হয়েছে। ওবাদুল কাদের বলছেন মনিটরিং করছেন শেখ হাসিনা। আর এই মনিটরিং করতে গিয়ে চালের দাম, ডালের দাম সব হু হু করে আকাশ ছুঁই ছুঁই করছে। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অপকৌশল।
রংপুর পুড়ুক, চৌমুহনী পুড়ুক, হাজীগঞ্জ পুড়ুক আমি এর মধ্য দিয়ে আমি আমার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করব।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা মনে করেন চালের দাম, লবনের দাম, পেঁয়াজের দাম, ডালের দাম বাড়াবো, আর আমার সিন্ডিকেটরা পকেট ফুলাবে। পকেট ফুলিয়ে মোটা সোটা হতে থাকবে।
আর এর মধ্য দিয়ে সরকারের ময়ুরের সিংহাসন টিকে থাকবে এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার অভিপ্রায়। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার ইচ্ছে।
তারা সিন্ডিকেটকে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য জনগণের দৃষ্টি চৌমুহনীতে, হাজীগঞ্জে, চট্টগ্রামে এবং পীরগঞ্জে উনি নিয়ে রেখেছেন।
আর ওবায়দুল কাদেরসহ আরো যারা মন্ত্রী রয়েছেন তাদেরকে উনি বলে রেখেছেন তোমরা এটার ওপর ব্যাস্ত রাখো জনগণকে। তারা সেই কাজটাই অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে করছেন।
ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মাদ নেছারুল হকের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, ডা:রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।