হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মোবায়েদুর রহমান : রাম যাদবের পর এবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে ফেডারেশন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় আরেক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান। তিনি বলেছেন, এ ফেডারেশনের থাকবে অভিন্ন মুদ্রা। বাণিজ্য হবে উন্মুক্ত। তা হলে সন্ত্রাসকে বিদায় জানানো যাবে। এর একদিন আগে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম যাদব এ তিনটি দেশকে একীভূত করার কথা বলেন। তারপরেই এ কথা বললেন রাম বিলাস পাসওয়ান। তবে আরএসএস বলেছে, তিনটি দেশকে একীভূত করা রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে রাম যাদবের কথায় জোর দিলেন ভোক্তা, খাদ্য ও বিতরণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান।
বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়েছে। পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে দেশ তিনটিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা বলতে পারি না এ দেশগুলো একীভূত হতে পারবে নাকি পারবে না। যদি তারা একীভূত হতে পারে তাহলে তা হবে খুবই ভালো বিষয়। যদি তারা আবার এক জাতি হতে না পারে তাহলে ন্যূনতম তাদেরকে একটি ‘মহাসংগঠন’ গড়ে তুলতে হবে। আগে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এক জাতি ছিল। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম যাদবের উক্তির বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসব কথা বলেন। পাসওয়ান বলেন, তিনটি দেশ মিলে একটি ফেডারেশন (মহাসংগঠন) গড়ে তুলতে পারে। এতে থাকবে অভিন্ন মুদ্রা। বাণিজ্য হবে উন্মুক্ত। জনগণের মুক্তভাবে চলাফেরার ওপর থেকে বিধিনিষেধ উঠে যাবে। এটা করা হলে সন্ত্রাস দূর হবে।
ঐদিকে ভারতের আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল বলেছেন, ভারতের কংগ্রেস এবং অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি আসামকে বাংলাদেশের অংশ বানাতে ষড়যন্ত্র করছে। সর্বানন্দ ভারতের ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন আসামে প্রচুর বাংলাদেশি অবৈধভাবে বাস করছে বলে দাবি করে থাকে বিজেপি। তাদের আসাম থেকে বহিষ্কারেরও দাবি করে দলটি। আসামের আঞ্চলিক রাজনীতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
ওপরের এই তিনটি ঘটনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, একদিকে বৃহত্তর ভারত নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির সিনিয়র নেতারা অবাস্তব বক্তব্য দিচ্ছেন, অন্যদিকে আসাম ও বাংলাদেশকে নিয়ে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এসব কথা শুনলে প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের মাথা গরম হয়ে যায়। হওয়াটাই স্বাভাবিক। নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে অন্য দেশের সাথে কেই বা একীভূত হতে চায়? আমরাও চাই না। তাই বলে আমি মাথা গরম করে বিজেপি বা ভারতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে গালিগালাজ করব না। বরং পরিবর্তিত শতাব্দীতে এ ধরনের চিন্তাধারার বাস্তবায়ন আদৌ সম্ভব কিনা, সেটি আমরা ইতিহাসের আলোকে এবং বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে বিচার করব।
প্রথমেই যে প্রশ্নটি ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কাছে করতে চাই সেটি হলো, এই ভারতবর্ষ তো অতীতে এক ও অখ- ছিল। ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ অগাস্ট ভারত ভেঙ্গে দুটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়। একটি ভারত, আরেকটি পাকিস্তান। আবার ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তান ভেঙ্গে দুটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়। রাষ্ট্র দুটি হলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ভারত ভেঙ্গে তিনটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। এই তিনটি রাষ্ট্র হলো ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া অবশিষ্ট যে ভারত রয়েছে সেটিকে ভারতবর্ষ বলা যায় কিনা সেটা ইতিহাসবিদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বিবেচনা করবেন। তবে ভারতীয়রা তাদের দেশকে যে নামে খুশি, সে নামে ডাকতেই পারেন। তাই এখনো যখন এক শ্রেণীর ভারতীয় নেতা এবং মিডিয়া ভারতকে ভারতবর্ষ নামে অভিহিত করেন তখন একটু হোঁচট খেলেও আপত্তি করার কিছু দেখিনা। এখন এক শ্রেণীর ভারতীয় নেতা যখন এই তিনটি রাষ্ট্রকে নিয়ে একটি ফেডারেশন গঠন করতে চান তখন আরো বড় হোঁচট খাই। কারণ প্রথমেই যে প্রশ্নটি সামনে এসে দাঁড়ায়, সেটি হলো, যদি আবার এক দেশেই মিলিত হবো তাহলে ’৪৭ এবং ’৭১ এ ভারতকে দুই দফা ভাগ করা হলো কেন?
॥ দুই॥
তারপরেও আমি বলবো যে, আমি রাগ করে বা ক্ষিপ্ত হয়ে আজকের লেখায় কিছু লিখব না। ভারতীয় তথা ঐ ধরনের চিন্তাধারার মানুষ বাংলাদেশে যদি থেকে থাকেন, তাহলে তাদের উদ্দেশ্যে আমি মাত্র দুই তিনটি পয়েন্ট নিবেদন করবো।
আমার প্রথম পয়েন্ট হলো, আমরা অর্থাৎ যারা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মানুষ, তারা কি শুরু থেকেই ভারত বিভক্তি চেয়েছিলাম? লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে সর্বপ্রথম ভারতবাসী এবং ব্রিটিশ শাসকদের সামনে পাকিস্তান নামক একটি রাষ্ট্রের অবয়ব ফুটে ওঠে। সেই লাহোর প্রস্তাব পাস হয়েছিল ১৯৪০ সালে। তার আগে কিন্তু ভারত ভাঙ্গার কথা কেউ কল্পনাতেও আনেননি। আরো মজার ব্যাপার হলো এই যে, ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব পাস এবং তারপর ভারতের মুসলমানদের মধ্যে পাকিস্তানের পক্ষে জোর প্রচারণা শুরু হলেও ১৯৪৬ সালের ২৪ মার্চের পর পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তান দাবি থেকে কিছুটা সরে আসেন এবং অখ- ভারতের মধ্যে বসবাস করতে রাজি হন। যারা প্রবীণ এবং যারা ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান চর্চা করেন তারা এই ঘটনা জানেন। তবে তারপর ৬৯ বছর পার হয়ে গেছে। সেদিনের অনেক মানুষ মারা গেছেন। যারা বেঁচে আছেন তারাও বার্ধ্যক্যের ভারে আনত। যারা নবীন, যুবা এবং প্রৌঢ় তাদের অবগতির জন্য বলছি যে, ভারতবর্ষকে এক এবং অখ- রাখার শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি তার ক্যাবিনেটের ৩ সদস্যকে ভারতবর্ষে পাঠান। এরা হলেন পেথিক লরেন্স (সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর ইন্ডিয়া), স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস এবং এভি আলেকজান্ডার। এরা তিনজনই ব্রিটেনের ক্যাবিনেট মিনিস্টার ছিলেন বলে তাদের এই টিমের নাম হয় ‘ক্যাবিনেট মিশন’। ভারতকে এক ও অখ- রাখার শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ১৯৪৬ সালের ১৬ মে তারা অখ- ভারতের প্রবক্তা কংগ্রেস এবং পাকিস্তানের প্রবক্তা মুসলিম লীগের কাছে একটি ফর্মুলা পেশ করেন। এই ফর্মুলায় ভারতবর্ষকে তিনটি গ্রুপ বা অঞ্চলে ভাগ করা হয়। তিনটি গ্রুপ হলো, এ বি এবং সি।
গ্রুপ এ- মাদ্রাজ, বোম্বে, মধ্য প্রদেশ, যুক্ত প্রদেশ, বিহার এবং উড়িষ্যা।
গ্রুপ বি- পাঞ্জাব, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু এবং বেলুচিস্তান।
গ্রুপ সি- বাংলা এবং আসাম।
গ্রুপ এ ছিল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। গ্রুপ বি এবং সি মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ অঞ্চল। অঞ্চল তথা প্রদেশের থাকবে সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসন। কেন্দ্রের হাতে থাকবে শুধু প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি এবং যোগাযোগ। সমগ্র ভারতবর্ষের জন্য প্রাদেশিক পরিষদসমূহ থেকে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (Proportional representation) ভিত্তিতে ৩৮৯ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে গণপরিষদ বা (Constituent Assembly)| । যাদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব থাকবে তারা হলো হিন্দু, মুসলমান এবং শিখ। গ্রুপ-বি এবং গ্রুপ-সি ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল। এই হলো ক্যাবিনেট মিশন ফর্মুলার সংক্ষিপ্ত সার।
॥ তিন॥
মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তার পাকিস্তান প্রস্তাব থেকে সরে আসেন এবং ক্যাবিনেট মিশন প্রস্তাব গ্রহণ করেন। কিন্তু কংগ্রেস নেতা প-িত জওহর লাল নেহ্রু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। নেহরুর ভয় ছিল, যেহেতু গ্রুপ-বি এবং সি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল তাই অবিভক্ত বাংলা, আসাম এবং অবিভক্ত পাঞ্জাবে ডোমিনেট করবে মুসলমানরা। প-িত নেহরু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর মুসলিম লীগ আবার পাকিস্তানের দাবিতে ফিরে যায় এবং ১৯৪৬ সালের ১৬ অগাস্ট ‘ডাইরেক্ট একশন ডে’ বা ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ ঘোষণা করে। পরবর্তী ঘটনাবলী সকলেরই জানা। হাজার হাজার হিন্দু-মুসলমান এবং শিখের রক্তের বিনিময়ে অবিভক্ত পাঞ্জাব এবং অবিভক্ত বাংলা বিভক্ত হয়ে পশ্চিম পাঞ্জাব ও পূর্ব পাঞ্জাব এবং পশ্চিম বঙ্গ ও পূর্ব বঙ্গ নাম ধারণ করে যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই লেখার কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পাঞ্জাব ও বাংলা বিভক্তির বিস্তারিত বিবরণ এখানে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু ইতিহাসে অসংখ্য ডকুমেন্ট আছে যেখানে দেখা যায় যে, মুসলমানরা বাংলা বিভক্তি চায়নি। প্রয়োজন হলে পাকিস্তানে যোগদান না করে স্বাধীন বৃহত্তর বাংলাতেও মুসলমানরা রাজি ছিল। পাঞ্জাবকেও তারা অখ- রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু প-িত নেহরু এবং সরদার বল্লব ভাই প্যাটেল অখ- স্বাধীন বাংলার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। অনুরূপভাবে পাঞ্জাবেও হিন্দু এবং শিখরা মিলে অখ- পাঞ্জাবের বিরোধিতা করে এবং পাঞ্জাবকে ভাগ করার দাবিতে অটল থাকে।
ভারত বিভক্তি মানেই বাংলা ও পাঞ্জাবের বিভক্তি। আমার সংগ্রহে অসংখ্য কাগজ পত্র আছে যেখানে দেখা যায় যে, ভারতবর্ষের মুসলমানরা বাংলা এবং পাঞ্জাব অখ- রাখতে চেয়েছিল। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে বাংলা ও পাঞ্জাব, বিশেষ করে মুসলমানদের কারণে যে বাংলা ভাগ হয়নি তার সপক্ষে কাগজপত্রসহ আমি কলাম এবং ভাষ্য লিখব। ওপরের এই আলোচনা থেকে অন্তত একটি বিষয় পরিষ্কার হয় যে, যদি নেহরু তথা কংগ্রেস ক্যাবিনেট মিশন প্রস্তাব মেনে নিতেন তাহলে ভারত বিভাগের প্রয়োজন হতো না। আর যদি ক্যাবিনেট মিশন প্রস্তাবের ভিত্তিতে ভারত অখ- থাকতো তাহলে কাশ্মীর নিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে তিনটি সর্বাত্মক যুদ্ধ হতো না এবং বাংলাদেশ নিয়েও ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হতো না।
৪৭-এর আগে এবং ৪৭-এর সময় পাঞ্জাবে হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায় একাট্টা হয়ে পাকিস্তানে যোগদানের বিরোধিতা করেছিল। অথচ ইতিহাসের অনিবার্য পরিণতিতে সেই ঐক্য ভেঙ্গে পড়ে এবং শিখরা ভারত থেকে বেরিয়ে স্বাধীন ‘খালিস্তান’ গঠনের আওয়াজ তোলে। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। সন্ত জার্নাল সিং ভিন্দ্রেনওয়ালার নেতৃত্বে সাড়ে ৭শ’ শিখ নেতাকর্মী স্বাধীন খালিস্তানের দাবিতে শিখদের পবিত্র উপাসনালয় স্বর্ণ মন্দিরে (Golden Temple) আস্তানা গাড়ে। তাদেরকে সেখান থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বিপুল সংখ্যক ভারতীয় সেনাবাহিনী স্বর্ণ মন্দির ঘেরাও করে এবং অবিশ্রান্ত গুলি বর্ষণ করে। এই সেনা অভিযানে নেতা সন্ত জার্নাল সিং ভিন্দ্রেনওয়ালাসহ শত শত শিখ মারা যায়। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা গান্ধীর এই সেনা অভিযান স্বাধীন খালিস্তান আন্দোলনকে ক্রাশ করে দেয়।
বিজেপির তথা ভারতের বড় বড় রাজনৈতিক নেতা এসব ইতিহাস নিশ্চয়ই জানেন। তারপরেও তারা কেমন করে বলেন যে, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী ভারত পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ মিলে ভবিষ্যতে একটি ফেডারেশন গঠন করবে। প্রিয় পাঠক, লক্ষ্য করুন যে, ভারতীয়রা ‘ফেডারেশনের’ কথা বলেছেন, ‘কনফেডারেশনের’ কথা বলেননি। সময় এবং সুযোগ হলে আগামীতে এ বিষয়ে লিখব, ইনশা আল্লাহ।
e-mail: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।