বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চিকিৎসক স্বল্পতা, দায়িত্বপালনে অনীহা ও রোগীর চাপে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। ওষুধ সঙ্কটের পুরানো অভিযোগের সাথে নির্ধারিত বেডের কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকায় এ ওয়ার্ডে সুষ্ঠু চিকিৎসা পাওয়া সম্পূর্ণ ভাগ্যের ব্যাপার বলেই মনে করেন ভর্তিকৃত শিশুদের স্বজনরা। অতি সম্প্রতি ঠান্ডাজনিত কারণে বিপুল সংখ্যক শিশু এ হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসছে। এদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের হাসপাতালটির শিশু বিভাগে ভর্তি করা হলেও সময়মত সুষ্ঠু চিকিৎসা না মেলায় ইনডোরে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালটির ৩৮ শয্যার শিশু বিভাগে প্রতিনিয়ত শতাধিক শিশু চিকিৎসাধীন থাকছে। গত শনিবার এ ওয়ার্ডে ১১৫টি শিশু চিকিৎসাধীন ছিল। এর বাইরে ৪ শয্যার শিশু সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিল আরো ৩১ জন। ফলে বিশাল এ হাসপাতালটির শিশু বিভাগের মেঝেতেও এখন রোগীর স্থান সংকুলান হচ্ছে না। চিকিৎসাধীন শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগ, এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা যদি নিয়মিত রোগীদের খোঁজ খবর নিয়ে সুষ্ঠু চিকিৎসা প্রদান করতেন, তবে অন্তত অর্ধেক রোগী সুস্থ হয়ে অতি দ্রুত ঘরে ফিরতে পারত। অন্য রোগী ভর্তি হবারও সুযোগ পেত। এখন অলিখিতভাবে অতি জরুরি ছাড়া শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
হাসপাতালটির শিশু বিভাগে বিভাগীয় প্রধানসহ দু’জন অধ্যাপকের পদেই জনবল রয়েছে। আছেন ৪ জন সহকারী অধ্যাপকও। কিন্তু রেজিস্ট্রার ও সহকারী রেজিস্ট্রারের ১০টি পদে আছেন মাত্র ১ জন। ফলে অতি জরুরি মুহূর্তে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা অনেক সময়ই বিপন্ন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি এ হাসপাতালের শিশু বিভাগে যে ক’জন সহকারী অধ্যাপক আছেন, তারা নিয়মিত হাসপাতালে রোগী দেখার পরিবর্তে নিজস্ব চেম্বারে ব্যস্ত থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বলে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় প্রধান ডা. মুজিব জানান, চিকিৎসক সঙ্কটে ওয়ার্ডে সুষ্ঠু চিকিৎসা ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা দূরহ হয়ে পড়েছে। তবে সহকারী অধ্যাপকদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি সম্পর্র্কে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার মতে, গোটা হাসপাতালের চিত্রই প্রায় এক। শিশু বিভাগও তার বাইরে নয়। তারপরেও এ ওয়ার্ডে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে সম্ভব সব কিছু করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, শিশু বিভাগে রোগীর চাপ খুবই বেশি। অতি সম্প্রতি ঠান্ডাজনিত রোগীর আধিক্যের কারণে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বেডের অভাবে অনেক রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়ার কথাও জানান তিনি। সহকারী অধ্যাপকদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের কিছু অভিযোগ তার কাছেও এসেছে।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সেবার মান বজায় রেখে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি সহকারী অধ্যাপক ও তদুর্ধ্বের চিকিৎসকরা কলেজের প্রিন্সিপালের নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়ে তিনি বিষয়টি নিয়ে সেখানেও কথা বলছেন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।