গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে রাজধানীতে বর্নাঢ্য জুশনে-জুলুস বের করেছে আনুজমানে আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। পরে মহানবীর শুভাগমনের তাৎপর্য, তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণের গুরুত্বারোপ করে আলোচনা সভা, মিলাদ-কেয়াম শেষে দেশ-জাতি ও মুসলিম বিশ্বের কল্যাণ কামনা করে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর কাদেরিয়া আলীয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গন হতে জশনে জুলুসটি শুরু হয়।
জুলুসে নেতৃ্ত্ব দেন আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)। জুলসটি শাহজাহান রোড, আসাদগেট হয়ে নুরজাহান রোড, তাজমহল রোড, শিয়া মসজিদ, রিং রোড, শ্যামলী, খিলজী রোড, বাবর রোড হয়ে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসায় গিয়ে শেষ হয়। কলেমা খচিত বিভিন্ন রং-বেরং এর পতাকা নিয়ে ইয়া নবী সালাম আলাইকা, মোস্তফা জানে রহমত খচিত পতাকা নিয়ে হাজার হাজার আশেকে রাসূল (সা.) এতে অংশ নেন। পরে মোহাম্মদপুর কাদেরিয়া আলীয়া মাদ্রাসা ময়দানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা পীর সৈয়দ সাবির শাহ। এসময় তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনে প্রিয় নবীর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। মহানবীর আদর্শ হুবহু অনুসরণ না করার কারণে পৃথিবীতে আজ এতো অশান্তি।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের উপস্থিতিও একারণে। আর মহানবীর আদর্শ বাদ দিয়ে তাঁর নামে বিকৃত ইসলাম প্রচার করা হচ্ছে। এ কারণে মানুষ পথভ্রষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রিয় হাবিবের দর্শনই যথেষ্ট। কারণ, এই পৃথিবীতে অশান্তির কবর রচনা করে শান্তি, সাম্য-ন্যয়-নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন হযরত মোহাম্মদ (সা.)। তাই সবকিছুতে তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে। তাহলে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠিত হবে। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের কবর রচনা হবে এবং দুনিয়া-আখেরাতে সফল হওয়া যাবে।
মাহফিলের আলোচনায় অংশ নেন পি.এইচ.পি গ্রুপের চেয়ারমান সূফি আলহাজ্ব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবু আহমেদ মন্নাফী, আনজুমানের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ্ব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এ্যাডিশনাল সেক্রেটারি আলহাজ্ব মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল হক, ঢাকার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শহীদ উল্লাহ, সিঃ ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি আলাহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম রতন, সেক্রেটারি আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল হক, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ মিজানুর রহমান, এসিসটেন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল মালেক বুলবুল, ট্রেজারার আলহাজ্ব শোয়েবুজ্জামান চৌধুরী তুহিন, হাজী নুরুল আমিনসহ ঢাকা আনজুমান ও গাউসিয়া কমিটির নেতৃবৃন্দ।
কাদেরিয়া আলীয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতী আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক ও ড. মাওলানা নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় মাহফিলে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দঃ)’র তাৎপর্য্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদরাসার প্রিন্সিপাল কাজী আব্দুল আলিম রিজভী, মাওঃ মাহমুদুর রহমান চিশতী, মাওলানা মুনিরুজ্জামান মুফতী মাহমুদুল হাসানসহ দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম। মিলাদ কেয়াম শেষে বাংলাদেশসহ সমস্ত মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ ছাবের শাহ্ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।