Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেমন হবে মরূর উইকেট?

| প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম | আপডেট : ৭:৫৪ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২১

করোনাকালীন বাস্তবতায় ভারতেরও ‘বিপদের বন্ধু’ বনে যাওয়া আরব আমিরাতের তিনটি ভেন্যুতেই হবে বিশ্বকাপ। আইপিএলের ৩১ ম্যাচের পর হবে বিশ্বকাপের ৩৯ ম্যাচ। তা দেখে নেওয়া যাক- আইপিএলে কেমন আচরণ করলো এই ভেন্যুগুলো, গড় স্কোর ছিল কেমন, কারা হয়েছেন সফল, বিশ্বকাপে পিচের চরিত্র হতে পারে কেমন...


দুবাই
এবারের আইপিএলের আগে আলোচনার বিষয় ছিল আইপিএলের পরে একই জায়গায় হওয়া বিশ্বকাপে কি পিচ সেøা হয়ে যাবে কিনা। কিন্ত দেখা গেল আইপিএলের শুরু থেকেই দুবাইয়ের পিচ কিছুটা ধীরগতির। মুলত দুবাইয়ের উইকেটকে বলা যায় টু পেসডই ছিল। যেখানে মাঝে মধ্যে বল থেমে আসে। তবে সেই সেøানেসটা অতিমাত্রায়ও ছিল না। এবারের আইপিএলে তাই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গড়ে প্রতি ইনিংসে রান উঠেছে ১৫০। প্লেঅফের আগে হওয়া ১১ ম্যাচের ৮টিতেই পরে ব্যাট করা দল জিতেছে। শুরুতে ‘সেøা’ আচরণ দেখালেও ধীরে ধীরে উইকেট ভালো হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার, শেষের কয়েক ম্যাচে শিশিরের ক্ষীণ প্রভাবের কথাও বলেছেন। এমনটা হলে পরে ব্যাট করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে দলগুলো।

আবুধাবি
আবুধাবি শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এখানেই হবে বিশ্বকাপের ১১টি ম্যাচ। এবারের আইপিএলে অবশ্য আবুধাবি আর দুবাইয়ের পিচের চরিত্র প্রায় একই ধরনেরই ছিল বলা চলে। বাউন্ডারি সাইজের পার্থক্যটা সাধারণত থেকে যায় এখানেও। দুবাই স্টেডিয়ামে ব্যাটসম্যানদের প্রতি ছয়ে বল লেগেছে প্রায় ২৪টি (২৩.৬১), আবুধাবিতে ২৫টি (২৪.৮৯)। প্রতি চারে যেখানে দুবাইয়ে বল লেগেছে প্রায় ১০টি (৯.২৭), আবুধাবিতে বলের প্রয়োজন পড়েছে প্রায় ৮টি (৭.৬৭)। পিচে সামান্য ‘মন্থরতা’ থাকলেও কাটার-সেøায়ার কাজে লাগিয়ে পেসাররা কন্ডিশনের ফায়দা লুটে সফল হয়েছেন দুবাইয়ের মতো এখানেও। স্পিনারদের কম ব্যবহার করলেও খারাপ ছিলেন না তারাও। মোট ওভারের ৩৪.৪২% বল করে মোট উইকেটের ৩০.৬৮% নিতে পেরেছেন স্পিনাররা। উইকেটপ্রতি ২৯.৪৮ রান খরচায় তারা নিয়েছেন ২৭ উইকেট। পেসারদের ৬১ উইকেট এসেছে ২৭.১৮ গড়ে।

শারজাহ
গেলবারের আইপিএলেও শেষের দিকে ‘সেøা’ হয়ে গিয়েছিল শারজা, কিন্ত এবার চমকে দিয়েছে শুরুতেই। ছিল ‘ভেরি সেøা’, টার্নিং যদিও ছিল না খুব একটা। তবে ধীরে ধীরে হয়েছে ‘ভেরি লো’। শারজা ব্যাটিংয়ের জন্য তাই হয়ে উঠেছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। যেখানে ২০২০ আইপিএলে গড় স্কোর ছিল ১৭১, সেখানে এবার গড়ে প্রতি ইনিংসে রান উঠেছে ১৩২। গেলবারের আইপিএলে শারজায় প্রথম আট ইনিংসের সাতটিতেই ২০০ বা তার অধিক রানের স্কোরের দেখা মিলেছে। সবমিলিয়ে হওয়া ১২ ম্যাচে ২৪ ইনিংসের মধ্যে ১৪০ এর নিচে দলীয় স্কোরের দেখা মিলেছে মাত্র ৬ বার। এবারের আইপিএলে যেখানে ১৬ ইনিংসে মাত্র পাঁচটিতেই স্কোর ১৪০ ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে। ৮ ম্যাচের ৫টিতেই পরে ব্যাট করা দলই জিতেছে এই মৌসুমে। শারজায় সময় যত গড়ায়, বল পুরোনো হওয়ার সাথে সাথে পিচও ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হতে থাকে। প্লেঅফের আগের আট ম্যাচের সবটিতেই যে দল পাওয়ারপ্লেতে এগিয়ে ছিল, সে দলই দেখা গেছে ম্যাচ শেষে ছিল এগিয়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টি২০ কাপ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ