নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আজ পর্দা উঠছে ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণের সবচেয়ে বড় আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের।
প্রথম সেঞ্চুরি
টি-টোয়েন্টির মেগা আসরে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল। ২০০৭ সালে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেন ১১৭ রানের ঝড়ো এক ইনিংস।
৬ বলে ৬ ছক্কা
ভারতের ক্যান্সারজয়ী তারকা যুবরাজ সিং ২০০৭ এর বিশ্বকাপে প্রায় শেষ করে দিয়েছিলেন ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ড ব্রডের উঠতি ক্যারিয়ার। সেই খেলায় ১২ বলে ৫০ রান করা যুবরাজ ব্রডের এক ওভারেই হাঁকান টানা ছয়টি ছক্কা।
সর্বাধিক রান
এই রেকর্ডটি এখনো নিজের দখলে রেখেছেন ২০১৪ সালেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা মাহেলা জয়াবর্ধনে। ১০১৬ রান করে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সবার ওপরে এই শ্রীলঙ্কান গ্রেট।
সর্বোচ্চ উইকেট
৩৯ উইকেট নিয়ে এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ খান আফ্রিদি। এক উইকেট কম নিয়ে ২য় অবস্থানে আছেন লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা।
সর্বনিম্নের লজ্জা
২০১৪ এর বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৯ রানে অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। এবারের আসরেও রাউন্ড ওয়ানে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে ডাচরা।
সর্বোচ্চ সংগ্রহ
জোহানেসবার্গে ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ২৬০ রানই এখন পর্যন্ত এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে কোন দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
সর্বাধিক জয়-পরাজয়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশিবার বিজয়ীর মুকুট পরেছে শ্রীলঙ্কা। এই আসরে ২২ বার শেষ হাসি হেসেছে তারা। অন্যদিকে পরাজয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। ২২টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা।
বিশ্বকাপের সেঞ্চুরিয়ানরা
খেলোয়াড় রান প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
ক্রিস গেইল (উইন্ডিজ) ১১৭ দ.আফ্রিকা জোহান্সবার্গ ২০০৭
সুরেশ রায়না (ভারত) ১০১ দ.আফ্রিকা গ্রস আইসলেট ২০১০
মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা) ১০০ জিম্বাবুয়ে প্রভিডেন্স ২০১০
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (নিউজিল্যান্ড) ১২৩ বাংলাদেশ পাল্লেকেলে ২০১২
অ্যালেক্স হেলস (ইংল্যান্ড) ১১৬* শ্রীলঙ্কা চট্টগ্রাম ২০১৪
আহমেদ শেহজাদ (পাকিস্তান) ১১১* বাংলাদেশ ঢাকা ২০১৪
তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ) ১০৩* ওমান ধর্মশালা ২০১৬
ক্রিস গেইল (উইন্ডিজ) ১০০* ইংল্যান্ড মুম্বাই ২০১৬
সংখ্যায়
সংখ্যায়
১ টি-২০ বিশ্বকাপে একবার করে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মোট সাতজন বোলার। তারা হলেন বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান, শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা, অজন্তা মেন্ডিস, অস্ট্রেলিয়ার জেমন ফকনার, পাকিস্তানের উমর গুল এবং নেদারল্যান্ডসের আহসান মালিক।
৩ এক ইনিংসে তিনবার ডিসমিসাল করেছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। ২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জোহান্সবার্গে উইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে একটি ক্যাচ নেওয়ার সঙ্গে দুইটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন মুশফিক।
৪ এক ইনিংসে চার উইকেট করে মোট দু’বার নিয়েছেন সাবিক আল হাসান। প্রথমটি ২০০৭ সালে জোহান্সবার্গে উইন্ডিজের বিপক্ষে এবং দ্বিতীয়টি ২০১৬ সালে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে।
৫ টি-২০ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডটি দু’জনের। পাঁচবার কোনো রান করতে পারেননি পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি ও শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান। দু’জনই জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন।
১০ বাংলাদেশের হয়ে দুই বোলার বিশ্বকাপে এক আসরে দশ উইকেট করে নিয়েছেন। ২০১৬ সালে সাকিব আল হাসান ও ২০১৪ সালে নিয়েছিলেন আল-আমিন।
২৮ অতিরিক্ত রান দেওয়ার তালিকায় সবার ওপরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অতিরিক্ত হিসেবে ২৮ রান দিয়েছিল ক্যারিবীয়রা।
৩৩ সবচেয়ে বেশি ৩৩ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৮ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি আছেন তালিকার দুইয়ে।
৩৫ সব মিলিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান। অবসরে যাওয়া লঙ্কান এ ক্রিকেটার ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন। দুইয়ে থাকা পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি খেলেছিলেন ৩৪ ম্যাচ।
১৬৬ রানের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ জুটি শ্রীলঙ্কার। মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারার। ২০১০ সালে ব্রিজটাউনে উইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে তারা ১৬৬ রান যোগ করেছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।